কাজী নাফিস ফুয়াদ মাদারিপুর প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইনিয়নে দীর্ঘ ৩৫বছরেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া।প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে বদলায়নি বেহালদশায় সড়ক।কয়েকযুগ পেরিয়ে গেলেও এলাকাবাসীদের ভাগ্যে জুটেনি একটি সেতু,বাঁশের সাকো দিয়েই পারাপার হচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার।কয়েক দফায় সেতুর জন্য মাটি পরীক্ষা করা হলেও হয়নি সেতু। দীর্ঘ ৩৫বছর যাবৎ এমনই ভুক্তভোগির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ ।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চলবল নামক গ্রামে যাতায়াতের অনুপযোগী সড়কের কারণে চলাচল করতে পারছে না কোনো যানবাহন।ফলে,পায়ে হেটেই পথ চলতে হয় ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের কয়েক হাজার পরিবারের ।হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও তাকে পরতে হয় আরো বিড়ম্বনায়।অসুস্থ অবস্থায়-ই তাকে হেটে যেতে হয় নতুবা কারো কাঁধে ভরে দিয়েই পাড়ি দিতে হয় কয়েক কিলোমিটার পথ।অতঃপর দেখা মেলে চিকিৎসালয়ের।
এলাকাবাসীরা জানান,জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক-ই সীমাবদ্ধ।
নির্বাচন আসলে তখন উন্নয়নের বুলি আওড়ালেও নির্বাচিত হয়ে গেলে তখন আর দেখা মেলা ভার সেই সব জনপ্রতিনিধিদের।ভোটের সময় পূর্নিমার চাঁদের ন্যায় উদিত হয়ে ভোটের পর আমাবশ্যার চাঁদের ন্যায় হারিয়ে যায় তারা।ফলে,ভাগ্যের বদল হয় না ভুক্তভোগী জনসাধারণের।
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ মল্লিক বলেন,আমার বয়স ৭০ পেরিয়ে যাচ্ছে ৩৫ বছর রাস্তা একবার পাকা হলেও এখন পর্যন্ত রাস্তা আর কোন উন্নয়ন করেনি পাইনি একটি সেতু ।এই বয়সেও বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে হয় ভয় লাগে কখন কি হয়। কয়েক দফায় মাটি পরীক্ষা করে যায় সেতুর মুখ দেখা যায়নি এখনো।
ঔষধ ব্যবসায়ী তাপস মন্ডল জানান,দীর্ঘ ৩৫বছর যাবৎ এমনই অবস্থা।যানবাহন চলাচল অনুপোযোগী রাস্তাঘাট।তাই,যানবাহন নেই।চলাচল করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।কেউ অসুস্থ হলে জরুরী মূহুর্তে এম্বুলেন্স যে আসবে সেরকম সড়কও নেই।আমাদের এই ভোগান্তি দেখার আছে কে?তিনি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সড়ক ও সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
রতন বালা বলেন,প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের ভরসা এই বাঁশের সাকো।ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে যায় এটি পার হয়ে।সাকোর বাঁশ পুরনো হয়ে গেলে পারাপারের সময় আচমকা ভেংগে পরে যেতে হয় ।কয়েকজনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে ।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল বাবু জানান,সড়ক ব্যবস্থা খারাপ থাকায় নির্মান সামগ্রী নেয়া যাচ্ছে না।
সড়কের কাজ শুরু হলে তখন ব্রীজের কাজও শুরু হবে।
কালকিনি ও ডাসার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম জানান,এলজিইডির আওয়তায় যে রাস্তা হয় তা ডেভলোপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় হয়।নতুন করে কোনো প্রকল্প শুরু হয়নি।আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।নতুন প্রকল্প শুরু হলে তখন এসকল রাস্তাঘাটের উন্নয়কমূলক কার্যক্রম শুর হবে।
মন্তব্য