জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিসান ইসলাম অনন্ত একাই বানিয়েছেন অ্যানিমেশন ছবি ফ্লাইট। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও চেষ্টার পর অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে তার প্রথম অ্যানিমেশন ছবির কাজ। ফ্লাইট ছবিটি শুধুমাত্র একঠি চরিত্রে সাজানো গল্প, যে চরিত্রের নাম বাংটু। ছবিটিতে বাংটু চরিত্রের এক বালক কিভাবে বারবার চেষ্টার মাধ্যমে স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে সে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আদমজী পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি এবং আদমজী পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে ভর্তি হন জিসান। ফ্লাইট ছবিটির অ্যানিমেশন থেকে শুরু করে সকল কাজ সম্পন্ন করেছে জিসান নিজেই।
জিসান বলেন, আমি যখন নবব শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকেই আমার আগ্রহ জন্মায় যে ডিজনি মুভিগুলো কিভাবে তৈরি হয় এবং এ সম্পর্কে জানার ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। এরপর ২০২২ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর অবসর সময়ে কিছু একটা করতে চাচ্ছিলাম। তখন গুগলে ও ইউটিউবে থ্রিডি এনিমেশন নিয়ে তৈরি ব্লগ ও টিউটোরিয়াল দেখে সেগুলা বাসার পুরোনো কম্পিউটারে অনুশীলন করে হাত পাকানোর চেষ্টা করতাম। এরপর ২০২৩ সালে আব্বু আমার অনুরোধে একটি ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিনে দেন। এরপর প্রায় ছয়মাস অক্লান্ত পরিশ্রমের পর শেষ হয় আমার প্রথম শর্টফ্লিম ফ্লাইট।
প্রায় সাড়ে ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ফ্লাইট চলচ্চিত্রের গল্পের বিষয়ে জিসান বলেন, এর গল্প খুব সহজ। প্রথমে কেন্দ্রীয় চরিত্র বাংটুর চোখ পড়ে খেলনার দোকানের একটা বিমানের ওপর। কিন্তু এত দাম, যে তার সাধ্যের বাইরে। তখন নিজেই বিমান বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংটু। কাগজ দিয়ে শুরু হয় তার প্রচেষ্টা। প্রথমে একটি, তারপর শত শত কাগজের বিমান। অবশেষে উড়ানোর মতো বিমান বানাতে সক্ষম হয় সে।
আগামী দিনের পরিকল্পনার বিষয়ে জিসান বলেন, আমি থ্রিডি এনিমেটর হিসেবে কাজ করতে চাই। দেশ ও দেশের বাইরের বড়ো বড়ো ক্যানভাসে কাজ করতে চাই। বিশ্ব থ্রিডি শিল্পের অংশ হতে চাই এবং সেভাবে আমি নিজেকে তৈরি করবো। তাছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল মিডিয়ার একটি নতুন দিগন্তের অংশীদার হতে চাই।
চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক বজলুর রশীদ খান জানান,আমি জিসানের ছবিটি দেখেছি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এবং আমি নিজের প্রফাইলেও ছবিটি শেয়ার করেছি। তাছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্তেও বিভিন্ন জায়গায় ভালো করছে এটা প্রশংসনীয়।##
মন্তব্য