শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
 

নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

JK0007
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩

---

সাপাহার নওগাঁ প্রতিনিধি :

নওগাঁর পোরশার ইলাম গ্রামে নানার বাড়ি যাওয়ার পথে একটি আম বাগানের ভেতর মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ পূর্বক রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যাওয়ার ঘটনায় মামলায় হ্যাপি নামের অভিযুক্ত এক পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার। সোমবার ২৮ আগস্ট আসামীর অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

সাজাপ্রাপ্ত হ্যাপি নওগাঁর পোরশা উপজেলার গোবরাকুড়ি এলাকার ওসমানের ছেলে।

আদালতে চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে সোমবার যুক্তিতর্ক শ্রবনের জন্য ধার্য থাকলে আসামী পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী এস.এম সারোয়ার হোসেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জনাকীর্ণ আদালত পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার।

একই সাথে রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানা সহ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন এবং জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার নারীকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশলী মকবুল হোসেন বলেন, ২০১৪ ইং সালের ১০ জানুয়ারি মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীটি তার নানার বাড়িতে যাওয়ার সময় পথে কাশিতাড়া এলাকার হারুন শাহের আম বাগানের ভেতর ছাত্রীটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রাখার পর। স্থানীয় লোকজন ছাত্রীটিকে দেখতে পান। এক পর্যায়ে স্থানিয়দের সহায়তায় রক্তাক্ত জখম ছাত্রীকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এঘটনায় ছাত্রীর নানা বাদি হয়ে পোরশা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে পোরশা থানার গোবরাকুড়ি এলাকার ওসমানের ছেলে হ্যাপির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon