ফয়সাল হোসেন লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুরে সাত দিন আগে নিখোঁজ হওয়া এনজিওকর্মী ইউনুস আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিস্তির টাকা চাওয়ায় তাকে হত্যার পর পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উদ্ধার করা হয়েছে ইউনুসের ব্যবহার করা বাইকটিও। এ ঘটনায় জাবেদ হোসেন নামে এক চা-দোকানিকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে পৌর শহরের কালি হাজি সড়কের মিঝি বাড়ি সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের পেছন থেকে ইউনুসের মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দোকানের সামনের পুকুর থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন।
নিহত ইউনুস আলী ফরিদপুর সদর উপজেলার সোভারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মোল্লা ছেলে। এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে তার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ এলাকায় গণি হেডমাস্টার সড়কে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি গ্রামীণ বাংলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাঠকর্মী ছিলেন।
আটক চা-দোকানি জাবেদ ৭নং ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ এলাকার মিঝি বাড়ির সফি উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানায়, গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ইউনুস আলী নিখোঁজ হন। পরে ওই রাতেই ইউনুসের স্ত্রী সুলতানা জামান সদর থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন। এরপর অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় চা-দোকানি জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জাবেদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে তার দোকানের পেছন থেকে পুঁতে রাখা অবস্থায় ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এবং দোকানের সামনের পুকুর থেকে তার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হচ্ছে ইউনুস আলীর মরদেহ ইউনুসের ছেলে ফারদিন এহসান বলেন, কিস্তির টাকাকে কেন্দ্র করে জাবেদ আমার বাবাকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছে। গতকাল রাতেও আমি জাবেদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা নিয়েছি। খুনির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করছি।
লক্ষ্মীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ঋণের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ধরে ইউনুছকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। পরে তার মোটর সাইকেল ও মোবাইল পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মন্তব্য