শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
 

নিরাপত্তা প্রহরী তাশরীফের ইশারায় চলছে টুঙ্গিপাড়া বিআরটিসি

JK0007
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 ------

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের  টুঙ্গিপাড়ায়  বিআরটিসি ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট ও বাস ডিপোতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রহরী তাশরীফ খানের বিরুদ্ধে।ডিপো এলাকার পার্শ্ববর্তী উপজেলা চিতলমারীর কলাতলা গ্রামের এই তাশরীফ খান কতিপয় স্থানীয় ব্যক্তি এবং কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রলোভনে হাতে নিয়ে বিআটিসিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। খান সাহেবের খুটির জোর কোথায় ? অনুসন্ধানে জানা যায়,টুঙ্গিপাড়ার বিআরটিসি ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট ও বাস ডিপোর নিরাপত্তী প্রহরী তাশরীফ খান এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পরে তৎকালীন ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তা এবং দুই তিন জন অসাধু সাংবাদিকের মাশোহারা দিয়ে বিআরটিসিতে তৈরী করতে থাকেন অপরাধের সাম্রাজ্য।নিরাপত্তা প্রহরী হওয়া সত্তেও অলিখিত কর্মকর্তা বনে যান একজন তাশরীফ খান,যেন বিআরটিসির স্টিয়ারিং তার হাতেই।বিআটিসিতে চলমান সেইপ প্রকল্পের ফ্রী ড্রাইভিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া,পরিক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়া আর দ্রুত লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যাচ ও রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন খান সাহেব।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একাংশ তৎকালীন জেলা প্রশাসক,গোপালগঞ্জের নিকট অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে তাশরীফ খান বিআরটিসিতে কম্পিউটার অপারেটর  এর চাকুরী দিবেন এই বলে  টুঙ্গিপাড়া উপজেলার করফা গ্রামের  লায়েক আলীর ছেলে শামিমের কাছ থেকে দুই (০২) লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।পরে এটি নিয়ে জানাজানি হয়ে গেলে তাশরীফ ভুক্তভোগীকে টাকা ফেরত দিয়ে উপস্থিত সালিশীর সামনে কান ধরেন।বিভিন্ন বাস কোম্পানীর থেকে তিন/চার লক্ষ টাকা নিয়ে বিআরটিসির বাস কাউন্টার বরাদ্দ এনে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী বলেন,তাশরীফের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে স্থানীয় ভাড়াটে একটি প্রভাবশালী গ্রামের বাহিনী দিয়ে মারধর করা হয়।শুধু মারধর নয় তাকে বদলি এবং মাদক দিয়ে মামলায় ফাসিয়ে দেওয়া হয়।বিআরটিসি ট্রেনিং ইনিস্টিউটের প্রশিক্ষক মোঃ জিন্নাত শেখ তাশরীফের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে মাদক মামলায় ফাসিয়ে দেয়।জিন্নাতের পকেটে অত্যন্ত গোপনে সুকৌশলে মাদক দ্রব্য রেখে দেয়।পরে পুলিশকে ফোন করে এনে ধরিয়ে দেয়। এ ব্যপারে ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩.৩৩ মিনিটে  তাসরিফ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে  যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করে ৪২ সেকেন্ড কথা না বলে লাইন কেটে দেয় ।পরে তার সাথে কথা হলে সে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon