বাউফল থেকে মুনতাসীর,
ক্রমে ক্রমে মহামারী আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু। এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন। পটুয়াখালীর বাউফলে ডেঙ্গু সম্পর্কে উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের মাঝে সতর্কতা তৈরি করছে তারুণ্যের জাগরণ নামক একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে এ কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি। এসময় ৮৮ নং বাউফল দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭১ নং নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক আলোচনা, লিফলেট বিতরণ ও পুরষ্কার বিতরণ করে তারা।
এসময় তারুণ্যের জাগরণ সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ নাজমুল হোসেন এর সঞ্চালনায় সংগঠনটির সভাপতি মুনতাসির তাসরিপ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত ও ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক নাদিয়া
নাহার বক্তব্য রাখেন। বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরাও বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তারা শিশুদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা করেন। শিশুদের মাঝেও ছিল ব্যপক উৎসাহ।
নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহসীন মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এর আগেও ডেঙ্গু সম্পর্কে জেনেছি। তবে আজকে তারুণ্যের জাগরণ সংগঠনের মাধ্যমে আরও ভালোভাবে জানতে পারলাম। তারা আমাদের এই রোগ কি কারণে হয় এবং কিভাবে এ রোগ থেকে বাঁচা যায় সেটি শিখিয়েছেন।’
বাউফল দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী বলে, ‘ডেঙ্গু রোগের পাঁচটি লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের আগেও অনেকবার বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি আরও সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তাদেরকে (তারুণ্যের জাগরণ) ধন্যবাদ।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিরিন আক্তার বলেন, ‘শিশুদের মাঝে সতর্কতা ছড়িয়ে দিতে তারুণ্যের জাগরণ সংগঠনের এমন চমকপ্রদ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন হতে পারবে।’
তারুণ্যের জাগরণ সংগঠনের সভাপতি মুনতাসির তাসরিপ জানান, ‘দেশে যে হারে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েই চলেছে তাতে আমরা এখনই যদি সচেতন না হই এবং চারদিকে সচেতনতা তৈরি করতে না পারি তাহলে এটি করোনা মহামারীর আকার ধারণ করবে। আর সচেতনতা তৈরি করতেই তারুণ্যের জাগরণ সংগঠন এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আশা করি এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেকটা সচেতন হবে।’
নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ নাসিমা বেগম জানান, ‘ডেঙ্গু সম্পর্কে বাঁচতে দরকার সচেতনতা। আর এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারুণ্যের জাগরণ সংগঠনের এমন পদক্ষেপ নিসন্দেহে প্রশংসনীয়।’
মন্তব্য