জাহাঙ্গীর আলম পলক,
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বোর্ড বাজার এলাকা থেকে ক্লুলেস হত্যা মামলার ০১জন পলাতক আসামী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১
১২ সেপ্টেম্বর র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বলেন বাদী মোঃ শহর আলী পিরোজপুরের নাজিরপুর থানায় এসে এই মর্মে এজাহার দায়ের করেন যে, তার বোন কোমেলা আক্তার (৪৫), কে সারাদিন দেখতে না পেয়ে নাতি নাইমা বেগম’কে তার বর্তমান বাড়ীতে পাঠাইলে ঘরে গিয়ে দেখতে পায় দুই হাত-পা, মুখ বাধাঁ এবং মুখের উপর বালিশ চাপা দেয়া। তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তদন্তকালে পাওয়া যায় ১৬/০৮/২৩ তারিখ হইতে ১৮/০৮/২০২৩ তারিখ ০৮.০০ ঘটিকার মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামীগণ হাত-পা, মুখ বেধে ধর্ষনের পর বালিশ চাপাদিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে এ হত্যাকান্ড সংক্রান্তে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নম্বর-১১, তারিখ ১৮/০৮/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার পুলিশ র্যাব-১ এর নিকট আসামীকে গ্রেফতারের সহায়তা কামনা করলে র্যাব-১ ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ১২ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পারেন যে, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার মামলা নং-১১, তারিখ ১৮/০৮/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ধারা মামলার মামলায় ঘটনায় জড়িত (ক্লুলেস আসামী) পলাতক আসামী জিএমপি, গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বোর্ড বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করিতেছে। উক্ত সংবাদটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলীসহ উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাৎক্ষনিক রওয়ানা করিয়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলায় ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী মোঃ এনামুল হক @ সাদেক (২৬), কে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হন। এ সময় তার নিকট হতে ০১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরো জানান, গ্রেফতারের পর আসামী মোঃ এনামুল হক @ সাদেক (২৬) প্রাথমিকভাবে র্যাব এর নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সে আরও জানায় যে, ভিকটিম এর স্বামী প্রবাসে থাকায় দরুন একা পেয়ে সিদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে তার সহযোগী হাসান সরদার (৩০) এর সহায়তায় হাত-পা, মুখ বেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্র্ষণের বিষয়টি ধামা-চাপা দিতে বালিশ চাপা দিয়ে ভিকটিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিম এর ঘরে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা, স্বর্ণ-অলংকার, মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরববর্তী তার সহযোগী ধর্ষক/হত্যাকারী হাসান সরদার (৩০) পুলিশের নিকট গ্রেফতার হলে সে গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্য গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য