জহরুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি জুবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা, সমন্বয়হীনতা ব্যর্থতা ও ক্রয় কমিটিকে উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে নিজের পছন্দমত ক্রয় করার অভিযোগসহ নানা অভিযোগ এনেছেন একই বিভাগের ৬ জন শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বরাবর একটি অভিযোগপত্রে এসব কথা উল্লেখ করেন একই বিভাগের ৬জন শিক্ষক।অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি বিভাগ পরিচালনা ক্ষেত্রে একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা, কারিকুলাম কমিটির মিটিং আহবান না করা, দায়িত্ব অবহেলা,অদক্ষতা, সমন্বয়হীনতা ও ব্যর্থতার কারণে অর্থনীতি বিভাগে নিয়মিত পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ, রেজাল্ট প্রস্তুতকরণসহ বিভাগের সামগ্রিক কাজ চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে।
এছাড়াও বিভাগে এডমিট কার্ড ছাড়া পরীক্ষা গ্রহণ।বিভাগে পরীক্ষার খাতা,ইনভিজিলেশনের তালিকার মত কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গেলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করা। বিভাগের অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ নিয়মিত অফিসে যথাসময়ে অবস্থান না করা ও ছুটি ব্যাতিত দীর্ঘদিন অফিসে অনুপস্থিতির থাকার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা।অভিযোগ আছে মূল্যায়ন ও নম্বরপত্র প্রদানে দীর্ঘ সময়ক্ষেপনের, পরীক্ষার রেজাল্ট ও ব্যাক লক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রদানে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে থিওরী পরীক্ষা শেষ করার বেশ কয়েক মাস পরে ভাইভা গ্রহণ।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি জুবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে এবং মোবাইলে মেসেজ দিয়ে হুমকি প্রদানের অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাকিবুল হাসানকে।একই সাথে নিয়মবহির্ভূতভবে চতুর্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট পাবলিশ এবং মাস্টার্সে ভর্তি করানোর অভিযোগ এনেছেন এই শিক্ষক। এছাড়াও অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি জুবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবহার করে একা একা নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে রেজাল্ট তুলে দেওয়ার ও অভিযোগ করেন এই শিক্ষক।
তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেন অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি জুবাইদুর রহমান। তিনি বলেন,‘‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন,বানোয়াট এবং এই ছয় জন শিক্ষক ভিন্ন উদ্দেশ্যেকে চরিতার্থ করার জন্য এসব কাজ করেছে। আর একাডেমিক মিটিং এ তো তারাই থাকে না এবং ৪র্থ এবং ১ম বর্ষ পরীক্ষাসহ তারা পরীক্ষা গুলো বন্ধ রাখছে কি কারণে?যেখানে আমি ৫ তারিখে চিঠি ইসু করে গিয়েছি’’,।
এছাড়াও সহকারী অধ্যাপক রাকিবুল হাসানকে মেসেজে হুমকি এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন,‘‘ আমি এভাবে বলেনি,এটা আপডেট মেসেজ আসল মেসেজ নয়।আর রেজাল্টের বিষয় হলো আমি ৫০ এর অধিক সময় ওনাকে(রাকিব হাসান) কল দিয়েছি ওনি ফোন রিসিভ করেনি।তারপর আমি নিজে তিনদিন থেকে চতুর্থ বর্ষের রেজাল্ট দিয়েছি।
অর্থনীতি বিভাগের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এ কিউ এম মাহবুব বলেন,‘‘আমি অভিযোগপত্র এখন পাইনি।পাইলে আমি পদক্ষেপ নিবো’’,
মন্তব্য