মোঃ জিয়াউল ইসলাম,
বরগুনার পাথরঘাটায় রাতে অজ্ঞাত মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফোন করে হুমকি দেয় নাসির উদ্দীন ইউসুফ নামের এক ফার্মেসী ব্যাবসায়ীকে। পরের দিন বিকেলে ছগীর হোসেন ও তার ছেলে রানাসহ একাধিক ব্যাক্তি এসে দোকানের লোকজনকে বের করে দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের খলিফারহাট বাজারে। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করে নাসির উদ্দীন নামের এক ব্যাক্তি।
অভিযুক্ত ছগীর হোসেন ও তার ছেলে রানা একই ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ জানান, গত ২৫ এ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে দশটার দিকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তার মোবাইলে কল আসে। সেখান থেকে জানান আগামীকাল থেকে দোকান খুললে তোমার হাত-পা ভেঙে পিটিয় শেষ করে ফেলবো। এ কথা শুনে নাসির উদ্দিন ভয় পেয়ে যায়। সে জিজ্ঞেস করেন, কে আপনি? ওপার থেকে বলেন, আমি ছগির শেখ। তিনি পরের দিন ২৬ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা থানায় একটি ডায়রি করেন। পরে বিকালে দোকান খুললে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছগীর ও তার ছেলে রানাসহ আরো ৪ থেকে ৫ জন লোক এসে হুমকি-ধমকি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে দোকানটি বন্দ করে তালা লাগিয়ে দেযন। এ সময় তিনি ৯৯৯ কল করে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তালা খুলে দোকান থেকে বের হন।
তিনি আরো জানান, ছগীর হোসেনের তালাক দেয়া স্ত্রীকে তার ছোট ভাই মুছা বিয়ে করায় তিনি এ কাজ করতে পারেন বলে জানান এবং একই কারনে তার ছোট ভাই মুছাকে কোর্টের মাধ্যমে লিখিত ভাবে তার কোন সম্পর্ক নাই বলেও অভিহিত করেন।
স্থানীয় ইসমাইল হোসেন ও ইউসুফ ফরাজী জানান, তারা নাসিরের দোকানের সামনেই ছিল। হঠাত করে ছগীর ও তার হেলে এসে দোকান বন্দ করতে বলেন এবং মারধর করেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. কবির হোসেন মোল্লা জানান, ওই দিন তার অসুস্থ থাকায় ফার্মেসিতে ব্লাড প্রেসার মাপার জন্য আসেন। তার বাবাকে বের করে দিয়ে নাসিরকে দোকানের মধ্যে রেখেই তালাবদ্ধ করে রাখেন। একজন ব্যাবসায়ীর সাথে এভাবে করাটা ঠিক হয়নি। নাসিরের যদি কোন অপরাধ থাকে সে হিসেবে বাজার কমিটি আছে তাদের কাছে জানানো উচিত ছিল।
খলিফারহাট বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মৃধা জানান, আমি লোকমুখে এরকম একটি ঘটনার কথা সুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত রানার সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার বাবা ছগীর হোসেন মুঠোফোনে জানান, তাদের সাথে আমাদের একটি ঝামেলা আছে, আমি দূরে রয়েছি এসে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।
এবিষয়ে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার জানান, নাসির নামের এক ব্যাক্তি সাধারণ ডায়েরি করেছে। পুলিশ চাইলেই তদন্ত করতে পারে না সেখানে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন, এই প্রক্রিয়ার কারণে তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে।
মন্তব্য