শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 

ইউপি সদস্য হত্যা মামলার পলাতক আসামি র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩

 ছবি: কণ্ঠস্বর

রিপোর্ট- জাহাঙ্গীর আলম পলক,

রাজধানীর লালবাগে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি বাদশা মিয়া হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি পাপুল মিয়া’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০।

যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় ক্যাম্প এ (৯ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১০ সিপিসি-১ কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল।

তিনি জানান, গত ২৬ জানুয়ারি রাত পৌনে বারোটার সময় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানাধীন পূর্বনন্ধানপুর এলাকায় গ্রেফতারকৃত আসামি পাপুল ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে মাদক সেবন করেছিলেন। তা তখন ইউপি সদস্য দেখলে এলাকার নিয়োগকৃত নৈশপ্রহরীগন পাপুলসহ তার অন্যান্য সহাযোগীদের মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে তাদের মধ্যে একপ্রকার বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। তাদের তর্ক-বিতর্ক এক পর্যায়ে এলাকার ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ভিকটিম বাদশা মিয়াসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং তাদেরকে যার যার বাড়ীতে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

এতে আসামি পাপুল পূর্ব ক্ষোভের জের ধরে বাদশা মিয়ার উপর উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং একপর্যায় পাপুলর সাথে থাকা অন্যান্য সহযোগীরা বাদশা মিয়াকে ঝাপটে ধরে এবং পাপুল তার প্যান্টের পকেটে থাকা চাকু দিয়ে বাদশা মিয়ার পাজরে স্বজরে দুইবার চুরিকাঘাত করে।

ছবি: যুগের কণ্ঠস্বর

বাদশা মিয়াকে বাঁচানোর জন্য তার দুই ভাতিজা স্বপন মিয়া ও সবুজ মিয়া এগিয়ে আসলে পাপুল তাদেরকেও এলোপাথারি ছুড়িকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন বাদশা মিয়া ও তার দুই ভাতিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় অটোরিক্সাযোগে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন।

হত্যাকান্ডের পর মৃত বাদশা মিয়ার মেয়ে মোছাঃ স্বপ্না খাতুন (২৫) বাদি হয়ে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানায় আসামি পাপুল মিয়াসহ ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা রুজুর পর থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি জানতে পেরে র‍্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হোন।

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon