মোঃ জিয়াউল ইসলাম,
বরগুনার পাথরঘাটায় এক ধর্ষিত নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে পাথরঘাটা হাপাতালে চিাকৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা সময় পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিন চরদুয়ানী বেরিবাঁধের ওপর থেকে ওই নারীকে উদ্ধা করা হয়। ধর্ষিতা নারী মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী গ্রামে হাকিম ফরাজির মেয়ে। পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ধর্ষিতা নারী মোসাম্মাৎ লিমা আক্তার (২০) জানান, ৩ বছর আগে তার দক্ষিন চরদুয়ানী গ্রামের জামাল দফাদারের সাথে বিবাহ হয়। বছর খানেক সংসার করার পর স্বামী/স্ত্রী মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে তার স্বামী তাকে (লিমাকে) তালাক দিয়ে বিদেশে চলে যায়। এর পর থেকে লিমা তার বাবার বাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে লিমা তার সাবেক স্বামীর বাড়ির কাছে ছোট বোনের জন্য পাত্র দেখতে আসেন। এ সময় তার পুর্বের পরিচিত জাহিদুল, মুসা ও রিমনের সাথে দেখা হলে, তারা পাত্র দেখানোর নাম করে পিয়ারা নামে এক নারীর পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
পরে রাত ৮টার দিকে জ্ঞান ফিরলে লিমা ডাক চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে।
রুস্তুম হাওলাদার নামের এক ভ্যান চালকের বাড়িতে রাখে।বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করলে গতকাল (শুক্রবার) বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ওই নারীকে তারা উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করান। ধর্ষনকারীরা এখন আত্মগোপনে আছেন।
এ ব্যাপারে ধর্ষক জাহিদুলের বাবা এসমাইল হাওলাদার জানিয়েছেন, ছেলে আমার অবাধ্য । এ ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটিয়েছে। সে এখন পর্যন্ত ৩টি বিয়ে করেছে। এলাকায় সে অসামাজিক কাজ করায় তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। জাহিদুলের সাথে বারবার মোবাইল যোগাযোগ করার চেস্টা করা, কিন্তু ফোন রিসিভ করেনি।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার জানান, আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছি এবং তার অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের আইনী ব্যাবস্থা নেয়ার কার্যক্রম চলছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য