মোঃ জিয়াউল ইসলাম,
বরগুনার পাথরঘাটায় পূজা দেখানোর কথা বলে অপহরণ করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া কিশোর হাসিবুল ইসলামকে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। তাদের মধ্য থেকে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অপহরণের শিকার মাদ্রাসাছাত্র হাসিবুল ইসলামের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয় সোমবার রাত আড়াইটার দিকে কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া এলাকার বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধের পাশ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ২০ অক্টোবর তাঁকে অপহরণ করা হয়। পরে ২২অক্টোবর বিকেলে নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।অবশেষে তিনদিন পর ২২অক্টোবর রাত বিশখালি নদীর পাড় থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত হাসিবের বাবা মোঃ শফিকুল ইসলাম, গহরপুর, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নথানা পাথরঘাটা, জেলা বরগুনা গত ইং ২০ অক্টোবর নিখোঁজ সংক্রান্তে নিহত হাসিবের বাবা মোঃ শফিক পাথরঘাটা থানায় একটা জিডি করেন তার নাম্বার ৯৯১
২২ অক্টোবর হাসিব কে উদ্ধারের জন্য চরদুয়ানী ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামে আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে তানভীর এর শশুর বাড়ি ইউনুস মুন্সির ঘরে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘাতক নোমান জিজ্ঞাসাবাদের জানায়, হাসিবকে কৌশলে নোমানের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
তাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে রাতে ঘুম পড়ানোর পরে ২১ অক্টোবর সকালে হাসিব কে হাত পা মুখ বেধে ভিডিও করে মুক্তিপণ দাবি করে ঘাতক নোমান । মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে হাসিবের গলায় রশি দিয়ে হত্যা করে। ২২ অক্টোবর সকালে হাসিবের মৃত্যু হয়।পরে লাশ অবস্থায় ঘাতক নোমানের শশুড় বাড়ি নিয়ে ঘড়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
সন্ধ্যায় ঘাতক নোমানের শ্যালক আব্দুর রহিম মুন্সির সহযোগিতায় বিভারটেক ড্রাইভার আব্দুর রহিম কাজীর গাড়িতে দক্ষিণ বানচটকি মজিদ খার বাড়ির সামনে ওয়াব্দার রাস্তার গর্তে রেখে দেয়। ঘাতকের দেখানো মতে হাসিবের লাশ অর্ধ গলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলো আব্দুল্লাহ আল নোমান@ তানভির@ শিশু ফকির(১৯), পিতা- মহিউদ্দিন ফরাজী, মাতা- তাসলিমা আক্তার ওমানা, সাং- গহরপুর ০১ নং ওয়ার্ড,
আসামীর শ্যালক মোঃ আঃ রহিম মুন্সি(৩৫), পিতা- মোঃ ইউনুস,
, শশুর মোঃ ইউনুস(৬৫), পিতা- মৃঃ আলী আকাব্বর,
,ফুফাত ভাই– মোঃ জসিম(৩০), পিতা- সৈয়দ মাঝি,
আসামীর চাচা ৪) তানজিলা(২৩), পিতা- মোঃ ইউনুস,, স্ত্রী- তাহিরা(১৯), পিতা- মোঃ ইউনুস
,শাশুরি- রহিমা(৫৫), পিতা- মৃঁত মকবুল হাওলার স্বামি-মোঃ ইউনুস, সবার গ্রাম হোগলাপাশা ০৪ নং ওয়ার্ড, চরদুয়ানী ইউনিয়ন
ড্রাইভার- আব্দুর রহিম কাজি(৪৫), পিতা- আব্দুস সালাম কাজী, সাং- দক্ষিন জ্ঞানপাড়া ০৬ নং ওয়ার্ড,
পাথরঘাটা থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর সাথে আরও কেউ আছে কিনা এবং এর পিছনে আরও কোন রহস্য আছে কিনা তা অনুসন্ধান চলছে।
মন্তব্য