এম জালাল উদ্দীন। পাইকগাছা।
খুলনার পাইকগাছায় সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৪৩’তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। নানা কর্মসুচির মধ্যে ছিল সাহিত্যিকের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা, পদক, সম্মাননা পত্র, কবিতা আবৃতি ও পুরস্কার প্রদান।
শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) এর সংসদ সদস্য মো: আক্তারুজ্জামান বাবু।
কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিসদের ভাইস চেয়ারম্যান শিহাবউদ্দিন ফিরোজ বুলু,সমবায় কর্মকতৃা হুমায়ুন কবির, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমিরণ কুমার সাধু, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া,মোড়ল কওসার আলী, আব্দুল মান্নান,সুরাইয়া বানু ডলি, এ্যাড. শফিকুল ইসলাম কচি, অধ্যাপক অব: সুরঞ্জন রায়, শিক্ষক নাজমুন নাহার বিউটি। বক্তব্য রাখেন, কবি রজি সিদ্দিকী, অসীম রায়,প্রেসক্লাব পাইকগাছার সাধারণ সম্পাদক এম জালাল উদ্দিন,আব্দুল মজিদ, আব্দুল আলিম, রাজু আহম্মেদ, প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ এলাকার সুধিজন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা ও গবেষণনায় বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম এবং শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য অধ্যাপক সুরঞ্জন রায় কে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পদক ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়েছে।
মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে কাজী ইমদাদুল হকের জীবনী রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান আফরা ইয়াসমিন অহনা দ্বিতীয় স্থান আজমিরা থাতুন ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে সিমলা নাহার। এছাড়াও রচনা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী ৫২জন প্রতিযোগী ছাত্র- ছাত্রী কে পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদ ২০০২ সাল থেকে সাহিত্যিকের জন্মদিন ও মৃত্যু দিবস পালন করে আসছে। ২০১৭ সাল থেকে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পদক ও সম্মাননা সনদ প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা উপমহাদেশের কৃতি সন্তান ও সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের জন্মজয়ন্তী জাতীয়ভাবে পালন, সাহিত্যিকের পৈত্রিক বেদখলীয় জমি উদ্ধার পূর্বক কমপ্লেক্স নির্মাণ ও পাঠ্যপুস্তকে তার জীবনী এবং আব্দুল্লাহ উপন্যাস পুনরায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবী জানান।
মন্তব্য