শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফটকে ছাত্রদলের তালা

ক্যাম্পাস
প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৩

---

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ঢাবিশাখা ছাত্রদল।

৪ঠা নভেম্বর দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রদল। তবে বেলা শুরু হওয়ার আগেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেগুলো ভেঙে ফেলে বলে জানা যায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় মসজিদ গেট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, চারুকলা অনুষদ এবং সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র এবং বিজ্ঞান লাইব্রেরির ফটকে তালা ঝুলিয়ে ব্যানার-পোস্টার লাগিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি। এসময় ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিটি গেটে ‘দেশ রক্ষার অবরোধ সফল হোক’ লেখা সম্বলিত একটি করে ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

তালা ঝুলানো প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশ বাঁচানো, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এর দাবিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এই কর্মসূচি পালন করে। ইতিমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশ রক্ষার এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কিছু আওয়ামীপন্থিরা শিক্ষক জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছেন। তাই, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল তালা মারার কর্মসূচি পালন করে।’

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা দেশ বাঁচানোর আন্দোলনকে সমর্থন করে। ক্যাম্পাসে আমরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের আন্দোলনে সমর্থন জানাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তবে প্রশাসন ভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘না, তারা কোনও গেইটে তালা দিতে পারেনি। কার্জনের দক্ষিণ গেইটে (যেটি বন্ধ থাকে) একটি রাবারের ব্যান্ড লাগিয়েছিল। আর কিছু ব্যানার লাগিয়েছিল, আমরা সেগুলো খুলে ফেলেছি। আর আমাদের কোনও শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করতে চাইছে না। কারণ একবার পরীক্ষার শিডিউল পেছালে, রি-শিডিউল দিতে সময় লেগে যাবে। যারফলে শিক্ষার্থীদের সেশনজটে পড়তে হবে, তাই তারাই কোনও কিছু পেছাতে চাচ্ছে না।‘

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon