ভেবে অবাক হই।মানুষ এতো লোকাচারে বিশ্বাসী হয় কেনো?
যেকোনো কাজ করলেই শোনতে হয় এটা সামাজিক না, মানুষ কী বলে?ধর্মকর্ম করে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ,যারা এ কথাগুলো বলে তারাই জানে না কাজটি কী হচ্ছে,কী হলো। আর ; সমাজে তো প্রচলন আছেই- হুজুগে বাঙালি। একজনে কিছু বললে অবিবেচকের মতো সবাই তাল মিলিয়ে চলে। ধরুন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের কথাই বলি।একজন লোক মসজিদ, মন্দির, পেগোটা কেন্দ্রিক না।অর্থাৎ,প্রার্থনাগারে অনিয়মিত।কিংবা, যাচ্ছেই না।কিন্তু,মনে মনে লালন করে ধর্মীয় সব রীতিনীতি। স্রষ্টার কাছে ঠিকই তিনি তার কর্ম করে যাচ্ছেন।অন্তরে তার স্রষ্টার ভয় আছে।তাঁকে সেজদা জানায়,তাঁকে অঞ্জলি দেয়।প্রমাঞ্জলি। হয়তো, আমরা কেউই দেখি না। কিন্তু,বিধাতা তাঁর কর্মে ঠিকই সন্তুষ্টি। আবার,যারা মসজি,মন্দির,গির্জায় নিয়মিত গিয়ে কাতারবদ্ধ হয়ে নামাজ কিংবা প্রার্থনা করে। যা আমরা প্রত্যক্ষ করি। কিন্তু, এর পার্থনার আড়ালে এমন কিছু কর্ম করে যা আমরা দেখি না।
অথচ,মুখে ধার্মিকতার বুলি আওড়াচ্ছেন। নিচ্ছেন সব ধরনের অনৈতিক সুযোগসুবিধা। নিজেও ভোগ করছেন,পরিবারকেও করাচ্ছেন। কেউ কি ভেবে দেখছেন একবারও?এই ধর্মকর্মের মানে টা কী? কোনটা নৈতিক,আর; কোনটা অনৈতিক? কে ভালো, কে মন্দ? কে ধার্মিক,কে অধার্মিক? কে নামাজি,কে বেনামাজি? আমরা কার পেছনে নামাজ পড়ি? কার পৌরহিত্যে উচ্চারিত মন্ত্র উচ্চারণ করি?এর জবাবে, একদল বলবেন,এটা তাঁর দেখার বিষয় না। কে কি করে সেটা দেখার বিষয়। তাহলে,যে কোথাও না গিয়ে যদি নিজের মতো করে নিজেই স্রষ্টার প্রার্থনা করে, তাহলে দোষটা কোথায়? আর; তাঁকে নিয়ে আপনাদের এতো মাথা ব্যথাইবা কেনো? বুঝলাম না। তারচে,যে যার মতো ভাবুক না,যার মতো থাকুক না। প্রত্যেককে প্রত্যেকের ইশ্বর ভাবনায় থাকতে দিন।যার যার স্বাধীনতা,বিশ্বাস নিয়ে বাঁচতে দিন। অযথা,অন্যের ব্যাপারে নাক না গলিয়ে নিজের ভাবনা ভাবুন,দেখবেন সমাজটা অনেক সুন্দর হবে। ধর্মীয় অশান্তি কমে যাবে। নৈরাজ্য কমবে।
লোক দেখানোর জন্য কোনো কিছু না করে আত্মশুদ্ধির দিকে ধাবিত হোন। সমালোচনা বন্ধ করুন।বিবেককে জাগ্রত করুন।
তাই,লোকাচার নয়।বাড়ুক আত্মিক চেতনা। জেগে উঠুক উপলব্ধি। দেখবেন,সমাজের ভীত বহুগুনে মজবুত হবে।
বেড়ে যাবে বিশ্বাস। ধর্মীয় চেতনা বৃদ্ধি পাবে। কলুষতা মুক্ত সমাজ হবে।
মন্তব্য