পাথরঘাটা প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটা চরদুয়ানী বাজারে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় কে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে মামলা-হামলা ও নারী আটকের ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, ১৯৮২ সালে ভুক্তভোগী মোঃ মোশাররফ হোসেনের এর পিতা আবদুল বারেক, মোঃ শাহজাহান এর নিকট থেকে ১২শতাংশ জমি ক্রয় করে যাহার জেল,নং- ২২,এস এ ১৭১,খতিয়ান নং-৮০৫,৮০৬।তৎকালীন পাঁচশত টাকা বাকি থাকার কারনে টিকিট ফেরত না দিয়ে একই দাঁগের জমি একই রকম দলিলে একই লেখায় শুধুমাত্র নাম পরিবর্তন করে উত্তম মিত্রের নিকট ১৯৮৭ সালে বিক্রি করেন জমি দাতা মোঃ শাহজাহান। তখন জমি ফেরত পাওয়ার জন্য ক্রয়তা আব্দুল বারেক আদালতে একটি মামলা করেন কিন্তু তদারতি না করার কারণে মামলা সাময়িক খারিজ হয়ে যায়। এই সুযোগে উত্তম মিস্ত্রি গং মুক্তিযোদ্ধা প্রভাব ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক পুজি করে ৩ শতাংশ জমি দখল করে বসবাস করে বাকি ৯শতাংশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জমিতে সামনে দোকান পজিশন রেখে বাকি জমিতে বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগিয়ে দেয় উত্তম মিত্র গং। জমি দখল নিতে মৃত: আব্দুল বারেক এর ছেলে মোঃ মোশাররফ আদালতের দারস্ত হন।
গত ০১/১১/২০২৩ রোজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে মোঃ শাহজাহান ও উত্তম মিত্র গং দের বিরুদ্ধে আদালত তফসিল ভুক্ত জমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। এই মর্মে জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয় এবং প্রবেশের নিষেধাজ্ঞায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করে মোঃ মোশাররফ।
এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞ টের পেয়ে উত্তম মিত্র গং পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৯শতাংশ জমির দোকান পজিশনে এক ফুটপাত দোকানিকে রাতের অন্ধকারে ছাপড়া দিয়ে মালামাল রাখার গোডাউন করে দখল নেওয়ার চেস্টা করে। এদিকে জমিতে ছাপড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোশাররফ ও উত্তম মিস্ত্রি গং এন মধ্যেকার গত ৪/১১/২৩ ইং তারিখ শনিবার রাত আড়াইটার দিকে তুমুল হামলা-হাঙ্গামা হয় এতে উত্তম মিত্র গং এর ৩ জন আহত হয় গীতা রানি মিত্র পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় বাকি দু-জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যায় ও মোশাররফ গংএর ৩মহিলা কে পাথরঘাটা থানা পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাথরঘাটা থানায় নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোশারফ এর স্ত্রী মোসাঃ সুরমা (৩৫) কে রেখে বাকি দুজনকে ছেড়ে দিয়ে মোশাররফ সহ ১৩জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার এজাহার করে পাথরঘাটা থানা। মোশাররফ জানান, পাথরঘাটা উপজেলা চরদুয়ানী বাজারে জেল নং-২২, ৮০৫,৮০৬ দাগের এসএ নং-১৭১, খতিয়ানে আমার বাবা মৃত আব্দুল বারেক ১৯৮২ সালে মোঃ শাহজাহান এর নিকট থেকে ১২শতাংশ জমি কবলা করেন। মোঃ শাহজাহান চিটিং ১৯৮৭সালে উত্তম মিত্রের নিকট বিক্রি করে। বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী আগে যে ব্যক্তি জমির দলিল করবে সে জমির মালিক সে হিসাবে আমি এই জমির প্রকৃত মালিক। আর উত্তম মিত্র মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে আমার জমি দখলের পায়তারা করছে ও অন্যায়ভাবে আমার নব-নির্মান কৃত ঘর ভেঙে দিয়ে আমার স্ত্রীকে আটক করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হল এটা কি এদেশের বিচার?
এ দিকে চরদুয়ানী বাজারের সাধারণ সম্পাদক শ্রী উজ্জ্বল বলেন,বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মোশারফ প্রায় ১৫০ জন মুখোশধারী নারী ও পুরুষ নিয়ে শনিবার গভীর রাতে চরদুয়ানী বাজারের পশ্চিম মাথায় অবস্থিত মৃত অতুল মিস্ত্রি’র ছেলে উত্তম মিত্রের বসতভিটায় হামলা চালায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন, সেখানে রাতের অন্ধকারে মোশাররফ এর তোলা নতুন ঘর সংসদ সদস্য দাড়িয়ে থেকে ভেঙে দিয়ে দখলে নেয়া বসতভিটা উদ্ধার করে উত্তম মিস্ত্রির পরিবারকে ফিরিয়ে দেন। চরদুয়ানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জুয়েল বলেন, রাতের আধারে ঘর তোলা চরম অপরাধ।
এদিকে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে ফাঁড়ির অবস্থান পাশেই ছিল তার পরেও তারা এগিয়ে আসেনি। যদিও ৯৯৯ এ কল করার পরে এবং সকালে থানাপুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। এ ঘটনায় মোশাররফ এর পক্ষের ৩নারীকে আটক করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ, আটকরা হলেন, মোসাম্মাত সবুরজান (৪২) সুরমা আক্তার (৩৫) ও রিনা আক্তার (২৪)। কে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোশারেফের স্ত্রী সুরমা কে ব্যতীত বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ৬/১১/২৩ রোজ সোমবার বেলা এগার টার দিকে পাথরঘাটার চরদুয়ানী বাজারে ঘটনা স্থলে বনির সমিতির উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মন্দির ও পূজা বরগুনা জেলা কমিটির পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুখরঞ্জন শীল, তিনি বলেন এখানে ডে ঘটনা ঘটেছে তা কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা নয় এটা দুই পক্ষের জমিজমা সংক্রান্ত ঝামেলা এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পর্ক শক্তসুতায় বন্ধন ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব মৃধা বিটুল, তিনি বলেন এখানে যে ঝামেলা সেটা হল জমিজমা নিয়ে। দুই পক্ষেরই দলিল রয়েছে। তবে কথা হল যদি মোশাররফ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ থাকে তাহলে রাতে কেন দখল নিতে হবে। তিন তারিখ রাতের ঘটনায় নিন্দা জানাই আরো বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা উপজেলার মন্দির কমিটির এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন কর্মকার, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ বদরুল হুদা বনি এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল মিত্র, সাবেক ইউপি সদস্য সুনিল হালদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব মৃধা বিটুল, সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, জমিজমা’র কাগজপত্র থাকলে আইনের মাধ্যমে দখলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। রাতের আধারে জমিদখল মানেই অপরাধ
মন্তব্য