মোঃ জিয়াউল ইসলাম
বরগুনার পাথরঘাটায় উপকূল দিবস পালিত হয়েছে। পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে রোববার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় একটি শোভা যাত্রা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ার চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাথরঘাটা প্রেসক্লাব চত্বরে শেষ হয়। পরে পাথরঘাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ৭০এর প্রাণহানিদের রুহের মাগফিরাতে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম খোকনের সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় বরগুনার পাথরঘাটায় এ দিবসটি আয়োজন করেন পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
এতে বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিন সোহেল, পাথরঘাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আহসান হাবীব, সাংবাদিক জাকির হোসেন খান, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মজিবুর রহমান কালু, সাংবাদিক নজমুল হক সেলিম, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি প্রত্যয়ের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী শিকদার প্রমুখ। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সদস্য সাংবাদিক আরিফুর ইসলাম। বক্তারা ৭০ সনের বন্যার স্মৃতিচারণ করেন এবং এ দিনটি উপকূল দিবস হিসেবে স্মৃতির দাবি করেন।
১৯৭০ সালরে ১২নভম্বের তৎকালীন র্পূব পাকস্তিানরে (র্বতমান বাংলাদশে-এর) দক্ষিনাঞ্চলে আঘাত হানে। এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত র্ঘূনঝিড় সমূহরে মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ র্ঘূনঝিড় এবং এটি সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাকৃতকি র্দুযোগের একটি। এ ঝড়ের কারণে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় র্ঘূণিঝড় মৌসুমরে ৬ষ্ঠ র্ঘূণঝিড় এবং মৌসুমরে সবচেয়ে শক্তশিালী র্ঘূণঝিড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি ৩’ মাত্রার র্ঘূণঝিড় ছিল।
১২ নভেম্বর উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নসহ উপকূল সুরক্ষার লক্ষে উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটি সপ্তম বারের মত উপকূলের উপকূলের সবকটি উপজেলায় একযোগে ‘উপকূল দিবস’ পালিত হয়।
মন্তব্য