ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ (১৫ ই নভেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বিভিন্ন ব্যানার পোস্টার নিয়ে লাইব্রেরির মূল ফটকে অবস্থান করে।
অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির সংস্কারের দাবি তুলে। তারা লাইব্রেরির প্রধান সমস্যাসমূহ তুলে ধরে সেগুলো- ১. শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন সংখ্যা কম। ২. সাইকেল চুরি হয়, বই চুরি হয়, পর্যাপ্ত সিসিটিভির নজরদারী নেই। ৩. নিয়মিত অধ্যয়নরত প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ওয়াশরুম মাত্র ১৮টি। ৪. মেয়েদের ওয়াশরুম এবং কমনরুম ব্যবহারের প্রায় অনুপযুক্ত। ৫. পানির ফিল্টার প্রায়ই নষ্ট থাকে। ৬. যানবাহন এবং অ্যাম্বুলেন্সের বিকট আওয়াজ নিয়মিত পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং তার সাথে যুক্ত হয়েছে মেট্রোরেলের আওয়াজ। ৭. বহিরাগত শিক্ষার্থীরা প্রায় নিয়মিত লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে, তাদের শনাক্তকরণের কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। ৮. অত্র এলাকায় ক্যান্টিন নেই। ৯. লাইব্রেরিতে প্রবেশকালীন প্রতিদিন বিশৃঙ্খলা ও সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটে থাকে, তা নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্যোগ নেই। ১০. ইন্টারনেট সেবার ব্যবস্থা নেই।
শিক্ষার্থীরা এই সমস্যাগুলো সমাধানের কার্যকরী কিছু উত্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- ১. লাইব্রেরিতে আসন সংখ্যা বাড়াতে হবে। ২. শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল এবং মোটর সাইকেল পার্কিংয়ের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৩. ওয়াশরুম সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং সেগুলো আধুনিক মানের হতে হবে। ৪. মেয়েদের কমনরুম ও ওয়াশরুম সংস্কার করতে হবে। ৫. পানির ফিল্টার পরিবর্তন করে নতুন ফিল্টার বসাতে হবে। ৬. যানবাহনের আওয়াজ দূরীকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৭. লাইব্রেরিতে প্রবেশকালীন বিশৃঙ্খলা দূরীকরণে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৮. ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য লাইব্রেরিতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ৯. দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ১০. গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
দুপুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুুর রহমান এসে তাদের সাথে কথা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবীগুলো শুনেন এবং কার্যকর পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। এরপর লাইব্রেরির পরিচালক এসে তিনিও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানায়।
এরপর অবস্থানরত শিক্ষার্থীদেরকে বর্তমান ভিসি মাকসুদ কামাল ডেকে নেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সবগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য