রিপোর্ট- জাহাঙ্গীর আলম পলক,
র্যাবের আভিযানিক দলের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অন্যতম মূলহোতা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোঃ মোশাররফ হোসেন (৩০) অবৈধ বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে র্যাবের একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা ইউনিয়নের অন্তরগত টেলাপাড়া এলাকায় একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে আসামিকে গ্রেফতার করতঃ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সময় ধৃত মোশাররফ সহ একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে প্রায় ২০০ হতে ২৫০ জন দলবদ্ধ হয়ে র্যাবের আভিযানিক দলের উপর আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, লাঠিসোঠা ও ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় র্যাবের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ধৃত মোশাররফসহ ২৭ জন এবং অজ্ঞাত আরও দুইশতাধিক হামলাকারীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
এ সকল সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল ১২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ ১.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ মোশাররফ হোসেন (৩০)নারায়ণগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকালে তার হেফাজত হতে ১টি বিদেশী পিস্তল,১টি ম্যাগাজিন,১রাউন্ড গুলি,২টি মোবাইলফোন,উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে র্যাব-৩ এর প্রধান কার্যালয় টিকাটুলী’তে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান,গত সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ র্যাবের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে। এছাড়াও সে জানায় যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুলতা এলাকায় বালু উত্তোলন এবং ভূমি দখলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার বিরাজমান। এই আধিপত্য বিস্তারে অস্ত্রের ঝনঝনানিতে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সর্বদা আতংক বিরাজ করে। অস্ত্রের মুখে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতনসহ প্রাণনাশের হুমকিও প্রদান করা হয়।
তিনি আরো জানান গ্রেফতারকৃত মোশাররফ তার গ্রুপের আধিপত্যকে কাজে লাগিয়ে ভূমি দখল, ফুটপাতে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানায় ১টি অপহরণ, ১টি সরকারী কাজে বাঁধাদান এবং ১টি আসামি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।সে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করার কাজে উক্ত অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে আসছিল।ধীরে ধীরে সে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য