মোঃ জিয়াউল ইসলাম
বরগুনার পাথরঘাটা বিষখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় গত ৯জানুয়ারী কোস্ট গার্ড কর্তৃক উদ্ধার হওয়া সেই হরিনটি চিকিৎসা শেষে হরিনঘাটা বনে অবমুক্তের তিনদিন পর মারা গেল।
১৫ জানুয়ারী রোজ সোমবার বিকাল সারে তিনটার দিকে পাথরঘাটার হরিনঘাটা বনে মারা যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিনঘাটা বিট কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই।
এ হরিণটি গত ৯ জানুয়ারী পাথরঘাটা হরিনঘাটা লালদিয়ার চর সংলগ্ন বিষখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় দক্ষিণ জোন কোস্ট গার্ডের টহলরত টিম উদ্ধার করে পাথরঘাটা বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। সেই থেকে পাথঘাটা প্রানীসম্পদ চিকিৎসক দ্বারা তিনদিন চিকিৎসা দিয়ে গত শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে হরিনঘাটা বনে অবমুক্ত করা হয়।
অবমুক্তের তিনদিন পর ১৫ জানুয়ারী রোজ সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে হরিনটি বনে মারা যায়। বন থেকে মৃত হরিনটি উদ্ধার করে পাথরঘাটা বনবিভাগের রেন্স কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে আসে। বিট কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর উপস্থিততে মৃত হরিনটির চামড়া ও শিং সংরক্ষণ করা হবে এবং বাকিংশ মাটিচাপা দেওয়া হবে।
এদিকে পাথরঘাটা বনবিভাগের কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার হওয়া হরিণটির শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন ছিল। ধারনা করা হচ্ছে হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়ে বাঁচার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। হরিণটি পাঁচ ফুট লম্বা এবং এর ওজন প্রায় দুই মন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাথরঘাটা প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, হরিনটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল যার কারনে হরিণটির শরীরের ২০ টি শেলাই দিতে হয়েছিল হরিণটি সুস্থ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কিন্তু বনে অবমুক্ত করার তিনদিন পর হরিনটি মারা যায়।
মন্তব্য