মোঃ জিয়াউল ইসলাম
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়া বুনিয়া উজির আলী দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরী ও আয়া
পদে নিয়োগের জন্য তিনটি পদের বিপরীতে একাধিক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ডিজির প্রতিনিধি বেনজির আহমেদ ও মাদ্রাসা সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন এবং মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ মোকারম্মের বিরুদ্ধে। আর ঘুষ বানিজ্যে সহয়তা করেছেন ঐ মাদ্রাসারর শিক্ষক কারী মহিউদ্দিন। এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক চাকরি প্রার্থী।
জানা যায় ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটায় পাথরঘাটা মহা-বিদ্যালয় শ্রোনি কক্ষে ডিজির ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতি নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। আর পরীক্ষা শুরুর আগেই চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ডিজি ও মাদ্রাসার সভাপতির নাম ভাঙিয়ে ৫০ হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষক মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন।
এছাড়াও চাকরি জন্য নিশ্চিত করতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান অভিযোকারীরা । বিষয়টি নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর আগে জানা জানি হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন স্থাগিত করতে বলে বরগুনা চলে যান। কিন্তু ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসার সভাপতি নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চাকরি
প্রার্থী জানান মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মোকাররম ও কারী মহিউদ্দিন তাদের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ডিজি ও সভাপতিকে ম্যানেজ করতে টাকা নিয়েছে। মাদ্রাসার সভাপতি আ’লীগ নেতা। আমরা যদি আমাদের নাম প্রকাশ করি তাহলে আমাদের সমস্যা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ভিজির প্রতিনিধি বেনজির আহমেদ এর সামনে মাদ্রাসার সভাপতি ও পাথরঘাটা উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে যাক তারপর কথা বলবো। ডিজি প্রতিনিধি বেনজির আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাওলানা মোকাররমকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফোন কেটে দিয়ে সুইচ অফ করে রাখেন তার পর অনেকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমি অনিয়ম দেখে নিয়োগ পরিক্ষা কেন্দ্র থেকে চলে এসেছি। এব্যাপারে আমাকে ফোন না করে ওখানে (ডিজির প্রতিনিধির সাথে) কথা বলেন।
মন্তব্য