পাথরঘাটা প্রতিনিধি
পরকিয়া ও কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই কাল হলো প্রবাসীর স্ত্রী ও তার স্বামীর। কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একে একে ১১ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আরেক প্রবাসী আল মামুন।
এমন অভিযোগ এনে আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আসমা আক্তার নামে এক গৃহিণী। এ সময় তার দুই মেয়েও উপস্থিত ছিলেন।
আসমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী সৌদি আরবে আল মামুনের সাথে একই কোম্পানিতে চাকরি করতো। কিছুদিন যাওয়ার পর আমার স্বামী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই দেশের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান এবং অসুস্থতার কথা আমাকে জানায়। প্রায়ই সেই সুযোগে স্বামীর খবরাখবর জানালে এক পর্যায়ে আল মামুন আমাকে কু প্রস্তাব দেয়, তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে রাজি করাতে স্বামী মনিরের পাসপোর্ট, ইকামাসহ যাবতীয় কাগজপত্র আল মামুন আটকে রেখে আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করতে সৌদি আরবে যেতে বলে, এছাড়াও বিভিন্ন সময় হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমোতে অশ্লীল ভিডিও পাঠাতো। আমার ছবি বানিয়ে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগের দিলে আমি তার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম অপরাধে মামলা করি। কেউ কাউকে হয়রানি করবে না মর্মে ওই মামলা জেলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আপোষ নিষ্পত্তি হয়।
আসমা আরও বলেন, আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামী কে জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেয় আর মামুন। এরপর মামুন দেশে এসে এবং বিদেশে থেকে নিজে এবং তাদের লোক দ্বারা স্বাক্ষর জাল করে ষ্টাম্প তৈরি করে একে একে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আদালতে ১১ টি মামলা দেয়। বর্তমানে আমার স্বামী একটি মিথ্যা মামলায় জেলে হাজতে রয়েছে। মামুন আমাকে নিঃস্ব করে ফেলেছে।
এ বিষয়ে প্রবাসী আল মামুন মুঠোফোনে বলেন, অভিযুক্ত আল মামুনের মুঠোফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ কল দিলেও রিসিভ করেনি। তাছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদ্র বার্তা দিলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য