পাথরঘাটা প্রতিনিধি,
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ গোলাম ছগির কে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠছে প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে।
এ বিষয় খবর নিয়ে জানাযায়,ব্ল্যাকমেইল চক্রের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় তিন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে ০৪/০২/২০২৪ তারিখে একটি জিডি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ৩ নং অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ আইউব আলি একই এলাকার বাসিন্দা ও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দী ও এক নম্বর অভিযুক্ত ব্যাক্তি মোঃ আনোয়ার হোসেন, বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের মোঃ সুলতান হাওলাদার এর ছেলে ও ২ নং অভিযুক্ত ব্যক্তি রিনা বেগম, বামনা উপজেলার রুহিতা গ্রামের মৃত জামাল হাওলাদারের স্ত্রী। জিডিতে বলা এক ও দুই, তিন নং বিবাদীর সহযোগী। বিবাদীরা অত্যন্ত খারাপ স্বার্থপর খামখেয়ালী প্রকৃতির লোক। বিবাদীরা স্থানীয় আইন কানুন সালিশি ব্যবস্থা কিছুই মানে না। ৩ নং বিবাদী সাথে পূর্ব থেকে পারিবারিক ও নির্বাচনীয় বিষয় নিয়ে বিরোধ বিদ্যমান। উক্ত বিরোধের জেরে তিন নম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ আইয়ুব আলীর সাথে এক নম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তি মোঃ আনোয়ার হোসেন। নিজ নিজ মোবাইল নম্বর থেকে বিভিন্ন তারিখে। বিভিন্ন সময় আমার ( মোঃ গোলাম ছগির) ব্যবহারিত ও স্ত্রীর ও মোবাইল নম্বরে দুই নম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি দমকি দেয়।দুই নাম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তির দ্বারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করিয়া অর্থ আত্মসাৎ করিবে এবং আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সহ যেকোনো মিথ্যা ঘটনা সাজাইয়া মামলা মোকদ্দমা করবে মর্মে হুমকি প্রদান করে তাদের মোবাইল নম্বর থেকে।
মোঃ গোলাম ছগির জিডির মাধ্যমে জানান, আমি বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি বিষয়টি থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিলাম। যাহার জিডি নাম্বার ১৩৫, তারিখ ৪/০২০২৪।
গোলাম ছগির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছে বিভিন্ন সময় মোবাইলে ফোন দিয়ে নারী নির্যাতন ও প্রতারণার কেলেঙ্কারি রটাবে বলে হুমকি দেয়।
এই মর্মে আমার স্ত্রীর কাছে ব্ল্যাকমেল চক্র চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করে। যার ভয়েজ রেকর্ড স্ত্রীর কাছে সংরক্ষিত আছে । এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় মেসেঞ্জারে মেসেজ এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র বার্তা পাঠায়। উক্ত টাকা না দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে আদালতে নারী নির্যাতন ও প্রতারণামূলক মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানির করার হুমকি দেয়। তিনি আরো জানান, আমার কন্ঠ এডিট করে কথোপকথন আমার স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিবে ও সংসারে ঝামেলা বাধিয়ে দিবে এই মর্মে হুমকি দেয়।
দাবি কৃত টাকা না দিলে আমার স্ত্রীকে অন্য মোবাইলের মাধ্যমে এডিট করা ছবি ও কন্ঠ পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে হয়রানি করবে বলে জানায়।
এডিট করা কন্ঠ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমার মানসম্মান নষ্ট করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানিয়েছি। গোলাম ছগির আরো জানান, হয়রানি করার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রীকে প্রতারণামূলক কথাবার্তা ভয়েজ রেকর্ড এডিট করিয়া অন্য মোবাইলের মাধ্যমে শুনায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানায় যোগাযোগ করা হলে, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো:আনোয়ার হোসেন জানান এই মর্মে পাথরঘাটা থানা একটি জিডি করা হয়েছে আমরা যথাযথ তদন্ত করে আদালতে পাঠাব।
মন্তব্য