মোঃ জিয়াউল ইসলাম,
মাছ নিয়ে নদী থেকে ট্রলার চালিয়ে আসার সময় টাকা ও মাছ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ট্রলারের মালিককে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দিয়ে ট্রলার নিয়ে আসলেন ঘাতক কর্মচারী ইব্রাহিম।
১৫ ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল-সারে তিনটার দিকে পটুয়াখালী উপজেলার চরমন্তাজ এলাকা হইতে ইঞ্জিন চালিত ছোট ট্রলারযোগে টাইগার চিংড়ি মাছ বিক্রির জন্য ট্রলার মালিক মোঃ রাশাদ খান(৪৫), পিতা- মোঃ আলতাফ খান, সাং- চরমন্তাজ, রাঙ্গাবালি জেলা পটুয়াখালী, সহ ট্রলারের কর্মচারি মোঃ ইব্রাহিম(৫০), পিতা- মোসলেম, সাং- ওংকুজনপাড়া, তালতলী, ও জামাল সহ খুলনার উদ্দ্যেশে রওয়ানা করলে উক্ত ট্রলারটি গলাচিপার পানপট্টি নামক স্থানে পৌছালে ট্রলারের থাকা কর্মচারী মোঃ ইব্রাহিম ট্রলারে থাকা মাছ ও লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ট্রলার মালিক রাসেদ ও মাঝি জামাল’কে ট্রলারে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপ দিয়ে, কোপের আঘাতে জামাল নদীতে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে ভাসতে ভাসতে তীরে উঠে । বর্তমানে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। ট্রলার মালিক রাশাদ খান’কে এখন পর্যন্ত লাশ কিংবা জীবিত পাওয়া যায়নি। এখানো নিখোঁজ রয়েছে
ট্রলার মালিকের ছোট ভাই তুহিন খানের ভাষ্যমতে গত রাত সারে দশটার দিকে ট্রলারের থাকা জামালের সাথে কথা হয়। তারা বলছে ট্রলারে ডাকাত পড়ছে। পরবর্তীতে ট্রলার মালিক অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় দূর্ঘটনায় পড়া ট্রলার উদ্ধার করে ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডস্থ এনামুলের মালিকানাধীন বরফমিলে নিয়ে আসে এবং কথিত ঘাতক মোঃ ইব্রাহিম’কে আটক করে থানা হেফজতে নিয়ে আসা হয়।
পাথরঘাটা থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আমি ও ফোর্সসহ ঘাতককে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে টলার ও মাছ জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, ঘটনা যেহেতু কলাপাড়া থানায় ঘটনা ঘটেছে, সেহেতু পাথরঘাটা থানা মামলা নেওয়া হয়নি। আসামিসহ কলাপাড়া থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মালিক রাশেদ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। লাশ বা জীবিত পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য