মোঃ জিয়াউল ইসলাম (পাথরঘাটা প্রতিনিধি)
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন “একদল তরুন” চেয়ারম্যান পদে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশীরা
পাথরঘাটা উপজেলা বরগুনা জেলার অন্তর্গত। পাথরঘাটা থানা ১৯২৫ সালে গঠিত হয়। এ উপজেলার পূর্বে বিষখালী নদী, দক্ষিণে-বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে-বলেশ্বর নদী, উত্তরে-বামনা ও মঠবাড়ীয়া উপজেলা। এ উপজেলায় লালদিয়া সমুদ্র সৈকত, হরিণঘাটা বন, বিহঙ্গ দ্বীপ,কালমেঘা টুলু, পৌরসভার ২নংওয়ার্ডে নিলীমা পয়েন্টসহ দর্শনীয় স্থান দেখার জায়গা। বাংলাদেশে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর ১৯৮২ সালে এটি পাথরঘাটা উপজেলায় উন্নীত হয়। উপজেলাটি সংসদীয় বরগুনা-২ আসনে অবস্থিত। পাথরঘাটা উপজেলা সাতটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। রায়হানপুর ইউনিয়ন, নাচনাপাড়া ইউনিয়ন চরদুয়ানী ইউনিয়ন, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন কালমেঘা ইউনিয়ন, কাকচিড়া ইউনিয়ন, কাঠালতলী ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। পাথরঘাটা উপজেলায়মোট ভোটার সংখ্যা, ১,১৫,৪৩৬ জন,পুরুষ ভোটার ৫৭,২২৭ জন,মহিলা ভোটার ৫৮,২০৮ জন। পাথরঘাটা উপজেলায় নানান সমস্যাও রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী, নদীভাঙ্গণ,বাল্যবিবাহ, শিক্ষার হার কম থাকা, খাবারযোগ্য পানির সমস্যা, চিকিৎসা ও স্বাস্থসেবা। পর্যটনগুলোর যাতায়াতে সড়কগুলো বেহালদশা। পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে উপরোক্ত চিত্রগুলো মোকাবেলা করতে হবে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যার প্রার্থী হিসাবে বেশ জোরেসোরে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে। ১.বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, ২.সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন মোল্লা, ৩. বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহাগ, ৪. বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃএনামুল হোসাইন, ৫. কালমেঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকন মোহাম্মদ সহিদ, ৬. কালমেঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আফরোজ হ্যাপী, ৭. বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নাদিম।
মোস্তফা গোলাম কবির- উপজেলা বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন দাদুর সাথে। পাথরঘাটায় বিএনপি ও জামায়াতে শক্ত অবস্থান থাকায় ও সচ্ছ নির্বাচন হওয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান সোহাগ শক্ত ও শক্তিশালী হওয়ায় একগুচ্ছভাবে জয়লাভ করে। তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হলেও তিনি মূলত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে নির্বাচিত হয়েই আবার দলীয়করণে হাতদেন এবং তার কাছের মানুষগুলো মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তবে তার সুনাম আছে যে তিনি গ্রামের শালিসি ব্যবস্থার জমা টাকা হেরফের করেনি। এবং পাথরঘাটার বেশ কিছু উন্নয়ন করেন।
রফিকুল ইসলাম রিপন মোল্লা - পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন মোল্লা উপজেলায় নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেন তার রাজনৈতিক জীবন ছিলো ক্লিন ইমেজ। দুর্ভাগ্যক্রমে দলীয় বিবেচনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন দাদু মনোনয়ন পাওয়ায় তাকে নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে হয়।তবে এবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় তিনি প্রার্থী হবেন, জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে। তার অবস্থান ও ভাল বলে জানাযায়।
হাফিজুর রহমান সোহাগ - বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ছাত্রজীবনে একজন সফল ছাত্রনেতা বললে ভুল হবে না। পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী, সৎযোগ্য ও একজন সংগঠক হিসাবে পরিচয় বহন করে। ছাত্রনেতা থাকাকালীন কোনো ধরনের দূর্নীতি স্পর্শ করতে পারেনি। তার ধারাবাহিকতায় তিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েই একজন শক্তিশালী প্রার্থীকে পিছানে ফেলে বিপুল ভোটে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার সততা কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের হ্রদয় স্থান করে নেয়। দুই বছর সফলভাবে কাজ করলেও পাথরঘাটা পৌর নির্বাচন কে কেন্দ্র করে তৎকালীন সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমনের রোষানলে পড়তে হয়। তিনটি বছর তার এভাবেই কাটে কিন্তু সততা তাকে ত্যাগ করতে পারেনি।এবার তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করেন। তিনি হয়তো পাল্টে দিতে পারে সব হিসাব নিকাশ।কারণ সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুভাষ চন্দ্র হালদার অনুসারী ও সমর্থিত প্রার্থী । সুভাষ চন্দ্র হালদারের ক্লিন ইমেজ খাটতি নেই,তিনি পাথরঘাটা উপজেলায় দশ বছর ব্যাপক কাজ করছেন। সাধারণ মানুষ হয়তো হিসাব হিসাব খসতে পারেন। সুভাষ চন্দ্র হালদার ক্লিন ইমেজ কাজে লাগিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভাবতে পারেন হাফিজুর রহমান সোহাগ।
এনামুল হোসাইন - এনামুল হোসাইন বর্তমান বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য। পাথরঘাটা উপজেলায় আনাচেকানাচে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। পাথরঘাটা উপজেলার তরুণ প্রজন্ম তাকে পেয়ে উল্লাসিত।পাথরঘাটা উপজেলার তরুন ভোটারদের ভোট ব্যাংক বলা যেতে পারে। এনামুল তার শক্ত নেতৃত্ব ও সাহস কাজে লাগাতে চায় তরুন ভোটাররা। তার আপন মামাতো ভাই মোঃ আলমগীর হোসেন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। তার মামা কামাল উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বংশীয় শক্তি কাজে লাগিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ও ভাই পুলিম কর্মকর্তা। এনামুল হোসাইন রাত-দিন সাধারণ ভোটাদের কাছে ভোটপ্রাথনা করে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছে।
আকন মোঃ সহিদ - তিনি পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, তিনিও চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ করছেন। তার অবস্থানও ভাল রয়েছে। তিনি পারিভারিকভাবে পরিচয় বহন করে। তার চাচা মোঃ আনোয়ার হোসেন আকন বর্তমানসহ পাথরঘাটা পৌরসভার চারবার মেয়র। তার বংশ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সে দিক থেকে তিনিও রয়েছেন শক্ত অবস্থানে।
নুর আফরোজ হ্যাপী - শোনা যাচ্ছে তিনিও গণসংযোগ করে মাঠ চষে বেড়াচ্চেন। তিনি পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের তিন বারের সফল চেয়ারম্যান ও শিক্ষিত, মার্জিত ব্যাক্তিত্ব নারী। তার স্বামী সাবেক সাংসদ গোলাম সরোয়ার হিরু। পাথরঘাটা
মন্তব্য