মোঃ জিয়াউল ইসলাম
বিশখালি নদীতে গভীর রাতে বরগুনা মৎস্য বিভাগের অভিযানে সময় মৎস্য কর্মকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে এক জেলে নিখোঁজের অভিযোগ উঠছে
২৬ এপ্রিল রাত দুইটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের টুলু পয়েন্টের খাল থেকে মধ্য কুপদন গ্রামের মোঃ সালামের ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের মোঃ রাসেল মোল্লা(২৫), পিতা- মোঃ নুরু মোল্লা, মোঃ ইসা(১৭), পিতা- আকাব্বার এবং মোঃ দেলোয়ার, পিতা- সুলতান হাওলাদার, নিজ ট্রলারে তার সহযোগি সহ মোঃ রিপন(৪৫), পিতা- মোঃ রাজ্জাক, বেহন্দি জাল দিয়ে পোমা মাছ ধরতে গেলে, বরগুনা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হাসান মাহমুদ বরগুনা সদরে’র নেতৃত্বে রাত আড়াইটার দিকে মৎস অধিদপ্তর বরগুনা লেখা সম্বলিত লাইফ জ্যাকেট পড়া ৭জন মৎস অফিসার ও ৫ জন সহায়ক মোট-১২ জন উক্ত মাছ ধরতে আসা ট্রলার থামিয়ে, মোঃ রাসেল ও দেলোয়ার কে, তাদের স্পিডবোটে উঠিয়ে নেয় এবং তাদের সবাইকে প্রাথমিক পর্যায়ে মারধর করে।
পরবর্তীতে জেলে রিপন এর সাথে ২ জন মৎস অফিসার দেলোয়ারের ট্রলারে উঠিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে নিয়ে যায় এবং সালামের ট্রলারে থাকা মোঃ ইসা ছোট হওয়ায় তাকে ট্রলার সহ ছেড়ে দেয়। স্পিডবোটে উঠিয়ে নেওয়া মোঃ রাসেল, দেলোয়ারসহ দুজন কে মৎস অফিসাররা বান্দরগাছিয়া নামক এলাকায় জাল উত্তোলন করতে নিয়ে যায় এবং জাল উঠিয়ে ভোর রাত সারে তিনটার দিকে টুলু পয়েন্টে দেলোয়ারের ট্রলারের কাছে আসলে পূর্বে থেকে দেলোয়ারের থাকা ট্রলারে থাকা ২ জন মৎস অফিসার স্পিডবোটে উঠে তাদের মৎস কর্মকর্তাকে জানায় জেলে রিপন ভয়ে ট্রলার থেকে নদিতে লাফ দিয়েছে এবং তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
জেলে দেলোয়ার সংবাদ মাধ্যকে জানান, মৎস্য কর্মকর্তারা আমাদের অভিযানে নিয়ে বেধরক মারধর করে এবং আমাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে যায় যাতে আমরা আমাদের তীরে থাকা লোকজনদের খবর দিতে না পারি। রিপন প্রতিবাদ করায় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় এই অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নদীতে ঝাঁপ দেয়। সেই থেকে রিপনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা রিপন কে উদ্ধারের বারবার দাবি জানালেও মৎস্য কর্মকর্তা কর্ণপাত করেনি। আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাকে ও রাসেল কে ওই অভিযানের সময় ইস্প্রিডবোটের মধ্যে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।
জেলে দেলোয়ার আরো জানান, পরবর্তীতে রাসেল ও আমাকে আহত অবস্থায় সকাল- নয়টার দিকে মৎস অধিদপ্তরের লোকজন রাসেল, দেলোয়ার কে টুলু পয়েন্টে নামিয়ে দিয়ে জাল নিয়ে তড়িৎগতিভাবে চলে যায় । উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল মোঃ আবু ছালেহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন । এদিকে নিখোঁজ রিপন খুঁজতে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এদিকে বরগুনা সদর মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানান, এরকম কোন নিখোঁজের ঘটনা আমাদের অভিযানে ঘটেনি।
জেলে নিখোঁজ ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির ও কালমেঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম নাসির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং নিখোঁজ রিপনের পরিবারের খোঁজখবর নেন। উপজেলা চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে জানান, আমি শুনেছি এখানে বরগুনা সদর মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে রাত দুইটার দিকে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। নিখোঁজ এর ঘটনায় তিনি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা বলে অভিহিত করেন এবং এর বিচার দাবি করেন। তিনি আরো জানান বেহন্দি জাল অবৈধ, তিনি জাল নিয়ে যাবেন। কিন্তু জেলেদের উপর অমানুষিক নির্যাতন কেন
মন্তব্য