মোঃ মিনহাজ আলম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
তীব্র দাবদাহে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বোরো ধান আবাদে কৃষক যখন নাজেহাল ঠিক এমন অবস্থায় ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকের ৬০ একর জমির ধান পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
আর কৃষকের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে গত শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে মাঠ পরির্দশনে যান পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রমিজ আলমসহ কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষকদের আশ্বাস দেন ক্ষতিপূরণের।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশপাশে শাহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি তিনটি ইটভাটা গড়ে তুলেন। তাদের ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর তীব্র গরম বাতাসে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ফসল ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ভাটার ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধানের ক্ষেত পুড়ে গেছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ইটভাটা মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে অনুরোধ জানালেও তারা তা দেননি। উপায় না পেয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে গত বুধবার (৮ মে) উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, তীব্র দাবদাহের মধ্যে মহাজনদের কাছে ঋণ করে অতিরিক্ত খরচে ধান আবাদ করা হয়েছে। এখন ধানের শীষ বের হওয়ার সময় ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের পাতা পুড়ে হলুদ হয়ে গেছে। আর যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই আঠালো হয়ে গেছে। শীষে কোনো ধান নেই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
এদিকে ফসলি জমির পাশে গরে উঠা ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষি অর্থনীতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তাই এসব ভাটা এবং ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা।
এ বিষয়ে ইটভাটা মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ক্যামেরা দেখে ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তারা দৌড়ে পালান।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কৃষি বিভাগ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন রায়।
আর পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম জানান, কৃষকের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার হবে। সেই সাথে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য