মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও
সাগর ঢালি (১৯) নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে ভোট দিতে এসে ছেলের ব্যালট পেপারে ছিল মারলেন বাবা। তবে ভোটাধিকার প্রয়োগে এমন নিময় আছে কিনা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার। তবে ভোট দেয়ার সময় প্রিজাইডিং অফিসার সাথে ছিলেন না। বা অবগতও করা হয়নি কাউকে।
বুধবার ২৯ মে দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এমন দৃশ্য চোঁখে পরে।
এ সময় ওই প্রতিবন্ধী ছেলের বাবা ঢান্ডু ঢালি জানান, আমি আগেই নিজের ভোট দিয়ে গেছি। যেহেতু ছেলের ভোট উঠেছে সে কারনে আমি তাকে সহায়তা করেছি। এসময় ছেলের বাবার কাছে জানতে চাওয়া হয় ছেলে তো প্রতিবন্ধী সে তো কোন কিছু বলতেও পারেন না বুঝতেছেও না তাহলে তার মতে তো ভোট দিতে পারেনি তাই না। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাহলে কি ভোট টা নস্ট করবো। ভোটটা যেন নস্ট না হয় সে কারনেই তার হয়ে ভোট প্রদান করেছি এবং সে আমাকে যে প্রতিকে ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সেই প্রতিকেই ছিল দেয়া হয়েছে বলে তিনি বাড়ি ফিরে যান।
তাদের বাসা পীরগঞ্জ পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ড কলেজ বাজার এলাকায়।
এ বিষয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পুলিং চন্দ্র জানান, এই কেন্দ্রে মোট ৭০৫৫ জন ভোটার। প্রতিবন্ধীর হয়ে বাবা তার ব্যলটে ছিল মেরেছে এটা নিয়মে আছে বলে দাবি করেন।
তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে মাঠে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সকাল থেকে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা উপস্থিত হয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রদান করেন।
এ উপজেলায় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়।
এ উপজেলার মোট ভোটার ২ লক্ষ ৬ হাজার ৬৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লক্ষ ৪ হাজার ৮৭৪, নারী ভোটার ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৮৭জন।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য