মোঃ জিয়াউল ইসলাম
বরগুনার পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ৫ দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন। উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের বসবাস । গত শনিবার রাত থেকে আজ বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত এ উপজেলায় বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ঘরবাড়ি, দোকান-পাট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোমবাতি ব্যবহার করে চলছে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম।
এরমধ্যে পাথরঘাটা বাজারের দোকানগুলোয় মোমবাতিরও সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পাথরঘাটা উপজেলার সব কয়টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ২০দিনের বেশি সময় লাগতে পারে।
৩০ মে বৃহস্পতিবার উপজেলার বাজারগুলোয় সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যাদের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে দোকনাদারি করছেন।
গত ৩দিন আগেই পাথরঘাটা বাজারে মোমবাতির সংকট দেখা গেছে। নতুন করে চাহিদা দিয়ে ডিলারদের থেকে সংগ্রহ করতে পারছি না। তবে ঢাকার মালামাল এসে পৌঁছলে দুএকদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে।
পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুস সালাম গণমাধ্যম কে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি নাই। ঠিকাদার, নিজস্ব লোকবল, শ্রমিকসহ লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ভান্ডারিয়া থেকে মঠবাড়িয়া পর্যন্ত ৩৩ কেভি মেইন লাইন চালু উপযোগী করতে আরও আজকের দিন সময় লাগতে পারে। এরপর পাথরঘাটা মেইন ৩৩কেভি লাইন চালু হবে। পর্যায়ক্রমে লাইন মেরামতসহ সমগ্র উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অন্তত ১৫/২০ দিন সময় লাগতে পারে।’
মন্তব্য