মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে শাহানাজ বেগম (২০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছেন ওই গৃহবধূর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মধ্যরাতে সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রহিমানপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷ নিহত শাহানাজ বেগম (২০) ঘাতক স্বামী বিশাল রহমানের (২২) স্ত্রী। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন৷
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই কর্মহীন স্বামী মাঝে মাঝেই যৌতুকের জন্য শারিরিক নির্যাতন চালাতো ওই গৃহবধুর ওপর। একই বাড়িতে শশুর শাশুরি ও দেবর বসবাস করলেও শাহানাজের পক্ষে ছিলনা কেউই। সে কারনে পাসন্ড স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে।
স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসির অভিযোগ সবশেষ গতকাল (৩০ মে) বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আবারো শারিরিক নির্যাতন করা হয় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী শাহানাজকে। এক পর্যায়ে গলাটিপে হত্যা করে পাসন্ড স্বামী। মৃত্যু নিশ্চিতের পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সবাই।
পরে আজ শুক্রবার (৩১ মে) সকালে এলাকাবাসি বাড়ির ভেতর নিহতের লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এসময় এমন হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।
নিহত ওই গৃহবধু ঠাকুরগাঁও জেলার বারিয়াডাঙ্গী উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের দোলুয়া গ্রামের শাহাজান আলীর মেয়ে। রহস্য উদঘাটনে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, পিবিআইসহ বেশকয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মিঠুন সরকার জানান, সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে লাশ সূত্র হাল করি। এর সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য