রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 

ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অভিযান

জাহাঙ্গীর আলম পলক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪

ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান

বিশেষ প্রতিবেদক, 

রাজধানীর যানজট নিরসন ও সড়কগুলোতে অবৈধ পার্কিং-ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।

দয়াগঞ্জ টু বটতলা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার উপরে বসবাসরত ব্যবসায় নিয়োজিত কিছু ফুটপাতে দোকান থাকার কারণে এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়ে আসছিলো। পরবর্তীতে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয় বিদায় তাদের দোকান এখান থেকে সরানোর জন্য সতর্ক করা হয়। ট্রাফিক ওয়ার্ক ডিভিশন নির্দেশ না মানায় ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডিসি আশরাফ ইমামের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে বেশ কিছু দোকান উক্ত স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং ফুটপাতে দোকান না বসানোর জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডিসি আশরাফ ইমাম প্রতিবেদককে জানান, গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রত্যেকটি স্থানের ফুটপাতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধভাবে ফুটপাতে দোকান বসানোর কারণে গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে সড়ক এমতাবস্থায় নিয়মিত অভিযানের ফলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং উচ্ছেদ করায় যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন

এছাড়াও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন এই এলাকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে, অবৈধ রুট পারমিট বিহীন গাড়িগুলো যাতে সড়কে চলতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অপরিপক্ক চালককে গাড়ি চালাতে নিরুৎসাহিত করেন, ট্রাফিক আইন মেনে চলতে যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতন করেন। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে তার অধীনস্ত সবাইকে নিয়মিত ব্রিফ করেন।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই রুহুল আমিন জানান, ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনা নিশ্চিত করা ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা একটি চ্যালঞ্জিং কাজ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে যানজট নিরসনে আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি।ফুটপাতে ও রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করে যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনার চেষ্টা করছি, ডিএমপি কমিশনার এবং ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ ইমাম স্যারের নির্দেশে এই কাজ সম্ভব হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছেন, অনেক সময় রোগী বহনকারী এম্বুলেন্স, গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিরাও যানজটে আটকে থাকতো। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গামী শিক্ষার্থীদের এবং অফিস গামী মানুষকে সময় মতো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে বিলম্ব হতে হতো।গত কয়েক দিন আগেও দয়াগঞ্জ এলাকার সড়কে উভয় পাশের ফুটপাতে ছিলো কাপড়ের দোকান এবং বিভিন্ন ফলের দোকান। গাড়ি চলাচল করতে বেগ পেতে হতো। রাস্তার উপরের সেসব দোকান এখন আর নেই। ফলে বদলে গেছে দয়াগঞ্জ বটতলা এলাকার পুরো পরিবেশ।

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon