বিশেষ প্রতিবেদক,
আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দীঘিনালা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি মো.সোহেল রানা। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দৈনিক ভোরের ডাক এর দীঘিনালা প্রতিনিধি মো. আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ এম মহসিন মিয়া। কমিটির অন্য সদস্য তিনজন হলেন, মো. আলমগীর হোসেন, মো. ওসমান গনী এবং কাজী হাবিবুল্লাহ রানা।
২৮ই সেপ্টম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় দীঘিনালা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেনও একই ভাবে প্রেসক্লাবে অনুপস্থিত থাকার কারণে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। তিনিও প্রেসক্লাবে উপস্থিত না হয়ে প্রেসক্লাব এবং কমিটি নিয়ে বাহিরে বিরুপ মন্তব্য করতে শোনা যায়, যা গঠনতন্ত্র বিরোধী। তাকে বার বার অনুরোধ জানিয়ে সুফল পাওয়া যায়নি। সঙ্গত কারণে প্রেসক্লাবের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মো. আক্তার হোসেনের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার সদস্য পদ ও বাতিল করা হয়।
দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত এক অবগতি পত্র থেকে জানা যায়, কোষাধ্যক্ষ এম মহসিন মিয়া প্রেসক্লাবের কোন আলোচনা সভায় উপস্থিত না হওয়ায় তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েও সারা মেলেনি। বরং তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষনা দেন, যা প্রেসক্লাবের জন্য অবমাননাকর ও গঠনতন্ত্র বিরোধী।
প্রেসক্লাবের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এর কারণ জানতে চাওয়া হলেও কোন সদুত্তর দেননি। তাই, পরবর্তী সভায় সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এম মহসিন মিয়াকে দীঘিনালা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার সাধারণ সদস্য পদ বাতিল করা হয়।
এবিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বলেন তাদের কর্মকান্ডের কারনে সকল সদস্যদের সম্মতিতে প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয় তাই তারা ক্ষুব্ধ একক ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।আমি ২০১৪ সাল থেকে সুনামে সহিত একজন মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করে আসছি। তবে যারা তথ্য প্রমান ছাড়া অপপ্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য