বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
 

ভোলায় স্ত্রী কর্তৃক প্রাণনাশের শঙ্কা স্বামী ইছহাক মিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪

 ---

স্ত্রীর দ্বারা বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্বামী ইছহাক মিয়া (২৫)। ইছহাক মিয়া ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউপর বাঘার হাওলা গ্রামের আহাম্মদ আীল ছেলে ও তার স্ত্রী জান্নাত ভোলা সদর উপজেলার পূব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে (২২) । এ ব্যাপারে জান্নাতকে বাদি করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে জান্নাতের স্বামী এছহাক মিয়া।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিতি ইছহাক ও জান্নাতের সাথে ভোলা সদর উপজেলার কনের বাড়িতে পারিবারিকভাবে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং ৩ লক্ষ টাকার দেনমোহর ধায্য করে বিবাহ সম্পন্ন করে। কিন্তু বিয়ের আগ থেকেই জান্নাতের পরিবারের পূর্বপরিকল্পনা ছিল তার স্বামীর সাথে সংসার না করে তারি বিরুদ্ধে আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে কাবিনের টাকা তুলে নেয়া। সেই ছক অনুযায়ী বিয়ের আসরে দুই পরিবারের সম্মতিতে দের লাখ কাবিন নির্ধাতি হলে এর মধ্যে ৭৫ হাজার উসুল। এমন শর্তে কাবিননামায় দু পক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতিভাবে কাবিনের অংক লেখার যায়গা খালি রেখে দেয় কাজী। এই কাজী হলেন জান্নাতের আপন মামাত বোন জামাই মাওলানা নূর হোসেন ওরফে নিরব কাজি। বিয়ের পরে ইছহাকের অজান্তে কাবিনের সেই খালি যায়গায় ৩ লক্ষ টাকা লিখে কাবিনের কাগজ সম্পন্ন করে। বিয়ের শুরুতে সাংসারিক জীবন খুব ভালভাবে কাটলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই ইছহাকের স্ত্রী জান্নাতের আসল রুপ বের হতে থাকে।
এমতাবস্থায় স্বামী ইছহাক তার কর্মস্থল ঢাকায় তার সাথে নিয়ে যায়। বিয়ের ৬ মাস না পেরোতেই জান্নাত হয়ে পরে অসুস্থ। বিষয়টি স্বামীকে না জানিয়ে সে ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারে নিজে মা হতে চলেছে। বিষয়টি সোনার পর স্ত্রী জান্নাতের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেয় গর্ভপাতের।তারই ধারাবাহিকতায় সেই বাচ্চা গর্ভপাত করার পরামর্শ নিতে তার বোনের সাথে পরামর্শ করার একটি অডিও কল স্বামীর হাতে চলে যায়। সংসারে মন না দিয়ে ঢাকা থেকে কয়েকদিন পর পর বাবার বাড়ি আবার ঢাকায়। আর এতে বিরক্ত হয়ে ওঠেন স্বামী ইছহাক মিয়া। এ নিজেদের আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমাধান করার চেস্টা করিলেও জান্নাত ওতার বাবা-মা, ভাইয়েরা মানেননি। এরপর স্বামীর সতর্কতায় সেই বাচ্চা গর্ভপাত করাতে পারেনি স্ত্রী জান্নাত। বর্তমানে সেই বাচ্চার বয়স ১৫ মাস এবং বাচ্চা তার নানীর কাছেই থাকে। এমতাবস্থায় সংসার চলাকালে জান্নাতের গর্ভে আসে আরেক সন্তান যার বয়স মাত্র ২ মাস। কিন্তু সেটা স্বামী ইসহাক মিয়ার অজান্তেই ঢাকা থেকে ভোলা তার বাবার বাড়ি গিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এমআর করে ফেলে দেয়। বিষয়টি পরে স্বামী জানতে পেতে জান্নাতের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে।
এরপর স্বামী ইছহাক মিয়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চেক করলে ধরা পরে। এরপর বিষয়টি নিয়ে স্বামী বিচারের জন্য পূনরায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ডাকলেও কোন সুরাহা হয়নি। স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার ফারুকের কাছে গেলে তিনিও কোন ভাল সিদ্ধান্ত দেননি। বিয়ের সময় স্বামী কর্তৃক দেয়া ১০ হাজার টাকার নাকফুল, নাকঠাসা ৬০০০ টাকা, কানের ঝুমকা ৬০,০০০ টাকা মোট ৭৬০০০ টাকার অলংকার দিয়েছে। আর ইছহাককে তার শশুরবাড়ি থেকে একটা চেইন দিলেও চাপ সৃষ্টি করে কৌশলে সেটাও নিয়ে নেয় জান্নাত। সব মিলিয়ে সে সংসারে আগ্রহী না হয়ে বাণিজ্যে আগ্রহী। এটা দ্বারা সেটাই প্রমানিত হয়। এ ছাড়াও ইছহাককে তারা উকিল নোটিশে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েও হয়রানি করার চেষ্টা করছে জান্নাতের পরিবার। এখানেই শেষ নয়। জান্নাতের পরিবার হুমকি দেয় ডিভোর্স দিয়ে নারী নির্যাতনের মামলা দেয়ার। বর্তমানে জান্নাতের সাথে স্বামী ইছহাকের কোন সম্পর্ক নেই। ইছহাকের স্ত্রী জান্নাত সে স্বামীর সাথে ঢাকাতে থাকতে রাজি নন এমনকি গ্রামে তার শশুর-শাশুরির সাথেও থাকতে রাজি নন। তাকে স্বামী টাকা পয়সা দিবে আর সে তার বাবার বাড়িতে থাকতে চান তার সন্তান নিয়ে। কিন্তু কেমনে এটা সম্ভব! একজন স্বামী তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থাকতে দিলে তাকে বিয়ে করার দরকার ছিল কি? বিষয়টি নিয়ে ইছহাক মিয়া ও তার মেয়ের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon