বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
 

ভোলায় স্ত্রী কর্তৃক হত্যা চেষ্টার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন স্বামী নিজেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪

সন্তান নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে জান্নাত
নিজস্ব প্রতিবেদকস্ত্রীর দ্বারা বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্বামী ইছহাক মিয়া (২৫)। এমন শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হলে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে ইছহাক মিয়ার স্ত্রী জান্নাত ও শাশুরী-শ্যালিকা। বলছিলাম ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউপির বাঘার হাওলা গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে ইছহাক মিয়ারর স্ত্রী জান্নাতের কথা। স্ত্রী জান্নাত ভোলা সদর উপজেলার পূব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে (২২) ।
উল্লেখিতি ইছহাক ও জান্নাতের সাথে ভোলা সদর উপজেলার কনের বাড়িতে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং পারিবারিকভাবে বিয়ের আসরে দুই পরিবারের সম্মতিতে দের লাখ কাবিন নির্ধাতি হলে এর মধ্যে ৭৫ হাজার উসুল এমন শর্তে কাবিননামায় দু পক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতিভাবে কাবিনের অংক লেখার যায়গা খালি রেখে দেয় কাজী। বিয়ের পরে ইছহাকের অজান্তে কাবিনের সেই খালি যায়গায় ৩ লক্ষ টাকা লিখে কাবিনের কাগজ সম্পন্ন করে। বিয়ের শুরুতে সাংসারিক জীবন খুব ভালভাবে কাটলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই ইছহাকের স্ত্রী জান্নাতের আসল রুপ বের হতে থাকে। বাপের বাড়িতে থেকে নিজের স্বাধীনমত চলাফেরা, পরকিয়া, স্বামীর সাথে না থাকা,  দুই পক্ষের শালিশ, মামলা নিয়ে চলতে থাকে তাদের দাম্পত্য জিবন। এর মধ্যে গর্ভে চলে আসে সন্তান, সেই সন্তানকে গর্ভপাত করানোর চেষ্টাও কম করেনি জান্নাত। কিন্তু এর পরে আবার তার গর্ভে চলে আসে আরেক সন্তান। সেটা স্বামী ইসহাক মিয়ার অজান্তেই ঢাকা থেকে ভোলা তার বাবার বাড়ি গিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এমআর করে ফেলে দেয়। বিষয়টি পরে স্বামী জানতে পেতে জান্নাতের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে।

এরপর স্বামী ইছহাক মিয়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চেক করলে ধরা পরে। এরপর বিষয়টি নিয়ে স্বামী বিচারের জন্য পূনরায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ডাকলেও কোন সুরাহা হয়নি। এখানেই শেষ নয়, এভাবে চলতে থাকে কয়েক মাস, ইছহাকের স্ত্রী জান্নাত সে স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকত। সেখান থেকেই এক ছাপাখানায় চাকুর করা ছেলের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। এরপর কয়েকমাস গেলে ঢাকাতে থাকতে রাজি নন এমনকি গ্রামে ইছাহকের বাবা-মায়ের সাথেও থাকতে রাজি নন। তাকে স্বামী টাকা পয়সা দিবে আর সে তার বাবার বাড়িতে থাকতে চান তার সন্তান নিয়ে। কিন্তু কেমনে এটা সম্ভব। এমাতবস্থায় হঠাৎ একদিন তার স্ত্রীর জান্নাতের মোবাইল চেক করে পরকিয়া ছেলের সাথে তোলা একটি ছবি দেখতে পান ইছহাক। সেটা দেখার পর জান্নাতের বিষয় আর বোঝার কিছু বাকি নেই। বিষয়টি নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জান্নাত চলে যায় তার বাপের বাড়ি। এমতাবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর দুজনের সাথে ফোনে কথা হলেও কেটে যায় এক মাস।

এমতাবস্থায় গত ২রা অক্টোবর বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে তার নিজের বাড়ি যাওয়ার অনুরোধ করিলে ইছহাকের সাথে সংসার করবেনা। সেই সাথে কাবিনের টাকা দাবি করে বলে, আমার  কাবিনের টাকা দিবি না হয় নারি নির্যাতন ও যৌতুক মামলা করব। এমন বর্ণনা দিলেন স্বামী ইছহাক মিয়া।  গোপন এক সূত্র জানায়, জান্নাত বিয়ের আগে তার আরো পরকিয়া ছিল, এটা তার একটা পেশা। তার পরকিয়ায় পরিবারও কোন হস্তক্ষেপও করছে না। ইসহাক মিয়া আরো বলেন, ঐ একই দিন ইছহাক থানায় একটি অভিযোগ দিলে তার ভিত্তিতে গত ২ নভেম্বর ভোলা পৌরসভাধীন সমবায় মার্কেটে এএসআই আজিমের নেতৃত্বে এক শালিস বৈঠকে একটি স্ট্যাম করে কিছু শর্তে মিমাংসা করে দেয়। মিমাংসা করার পর ইছহাক মিয়াকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী জান্নাত তার বাপের বাড়ি নিয়ে যায়। নেবার পরে রাগ, ক্ষোভ আর অভিমান ভুলে ইছহাক তার শাশুরীকে সালাম বিনিময় করেন। এরপর কিন্তু ইছহাককে রাতে কোন খাবারও দেয়নি। এমনকি শশুর-শাশুরী শ্যালীকা মাহিমা শ্যালক জসিম ও খলিলের কথা না হয় বাদই দিলাম ইছহাকের সাথে তার স্ত্রী জান্নাতও কথা বলেনি, ঘুমাতেও দেয়া হয়নি কোন কাথা বালিশ। এমতাবস্থায় কোন উপায়ন্ত না পেয়ে সে বারান্দায় একটা কাপর নিচে দিয়ে শুয়ে পরে। ঘুম নেই ইছহাকের দুচোখে, এমতাবস্থায় আড়াল থেকে বাসার সবাই একটু পর পর উকি মেরে দেখছে ইছহাক ঘুমাল কিনা। বিষয়টি ইছহাকের কেমন যেন লাগছে। সে ঘুমের ভান ধরে তাদের কর্মকান্ড শুনছে। এর মধ্যে তারা একে অপরকে বলতে থাকে যে ওর আজ শেষ দিন ওকে কিছু করতেই হবে। বিষয়টি বেগতিক দেখে ইছহাক পালাবার সিদ্ধান্ত নেন।

এমতাবস্থায় শালিসদারের মধ্যে মোকাম্মেল নামের ব্যক্তি ইছহাককে ফোন দিলে মোকাম্মেলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সুযোগে ইছহাক তার শশুরকে বলে বাবা মোকাম্মেল আপনার সাথে কথা বলতে চায় দেখেন কি বলে। এরপর শশুর মোকাম্মেলের সাথে কথা বলার ফাকে ইছহাক ঘর থেকে পালিয়ে তার বাড়িতে চলে যান। এরপরের দিন সন্ধার পর শশুরবাড়ির পরিকল্পনা অনুযায়ী শশুরবাড়ির পক্ষে শাকিল নামে এক লোক তাকে ফোন দিয়ে ইছহাকের সমস্যাটা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে তাকে ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড কাল্লার হাট বাজার বেরীবাধ সংলগ্ন নিয়ে যান। ইছহাকের অজান্তেই ততক্ষণে তার শশুর লোকজন নিয় হাজির, সেটা দেখেই ইছহাকের গলা যেন শুকিয়ে যায়, সে ভাবছে এখনি আমার প্রাণনাশ হয়ে যাবে। এরপর তাকে সবাই মিলে মারপিট করলে ইছহাকের চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এসে অচেতন অবস্থায় ইছহাককে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ততক্ষণে শালিসদার মোকাম্মেল ও ঐ লোকজনের সহায়তা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ইছহাকের শশুরের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon