রাবি প্রতিনিধি:
কোটা আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান। শেষমেষ সরকার পতন। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই জুলাই বিপ্লবের ১০০তম দিন আজ। ঐতিহাসিক এই দিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘রক্তাক্ত জুলাই’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক এম. এ. তাহের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রদর্শনীতে জুলাই অভ্যুত্থানে কৃষক, শ্রমিক, রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিশু, প্রৌঢ়া সকলের অংশগ্রহণের স্থীরচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ের বিভিন্ন দফা-দাবি, গান, স্লোগানও প্রদর্শিত হয়েছে। আজ ১০০তম দিন উপলক্ষে সর্বমোট ১০০টি ছবি প্রদর্শিত হয়েছে এই আলোকচিত্রে।
জানতে চাইলে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজক রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম. এ. তাহের বলেন, ‘আমাদের জুলাই বিপ্লবের যে স্পিরিট, সেটা ধ্বংসের জন্য দেশী-বিদেশী অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। অনেকে অনেকভাবে এই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের মনে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করার জন্য, বিপ্লবের চেতনাকে আঁকড়ে ধরার জন্য এবং সেই সাথে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই শিক্ষার্থীরাই যাতে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা আজকের এই আয়োজন করেছি।’
ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ থেকে সাড়ে তিন মাস আগে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে এক সঙ্গে আন্দোলন করেছিলাম আমি এবং আমার বন্ধু সিহাব। আমার চোখের সামনে আমার বন্ধু গুলি খেয়ে পড়ে গেলো, আমি দেখতেছিলাম কিন্তু আমার কিছুই করার ছিলো না। গুলে খেয়ে সে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়। সেই ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের ওপর যা করেছে সেটা কখনো ভোলার নয়। আজকে এখানে এসে আমার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। আমার ভালো লেগেছে যে এতো সুন্দরকরে আন্দোলনের চিত্রগুলো প্রদর্শন করা হয়েছে। এই চিত্রগুলোকে থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া দরকার যেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর কখনো না ঘটে।’
মন্তব্য