শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
 

কমলা ও মাল্টা বাগান করে সফল সরকারি চাকরিজীবী জয়নাল আবেদীন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪

---
মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
সারি সারি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কমলা, যার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আকৃষ্ট করে দরশনার্থীদের। ভ্রমণ পিপাসুরা এমন দৃশ্য দেখতে যেত ভারতের দার্জিলিংসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার সেই দার্জিলিং ও চায়না জাতের কমলা চাষ করে তাক লাগিয়েছে সরকারি চাকুরিজীবী ও উদ্যোক্তা জয়নাল আবেদিন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনা গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন। পেশায় তিনি একজন সরকারি চাকুরীজীবি।
৫ বছর আগে চাকুরীর সুবাধে চুয়াডাঙ্গার একটি কমলা বাগান দেখে মুগ্ধ হোন তিনি। পরে সখেরবসে সেখান থেকেই পরিক্ষা মূলক ভাবে কমলা ও মাল্টার ৩০০ চারা সংগ্রহ করেন। পরে বাড়ির পাশেই সারে তিন একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলেন নিজের বাগান। তার এক বছর পর থেকে ফলন আসা শুরু হয় তার বাগানে। প্রথমবার তেমন ফলন না পেলেও গতবার ও এবার ফলনে ভরে গেছে পুরো বাগান। ফলের  ভাড়ে নুয়ে পরেছে গাছ।

---
বাগানের চারপাশে কমলার চোখ জুড়ানো দৃশ্যে ও সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছে সকলে। বাগানের কমলা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি স্বাদেও অনন্য। কমলা বাগানের এমন দৃশ্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দূর দুর্দান্ত থেক আসা দর্শনার্থীরা  উদ্ববুদ্ধ হয়ে উদ্যোক্তও হতে চান অনেকে।

দর্শনার্থীরা জানান, ভারতের দার্জিলিং জাতের কমলা বাংলাদেশও যে চাষ করা সম্ভব এবং ব্যপক ফলনও হয় এটি এই বাগানে না আসলে বুঝতাম না। বাগানের দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আমরা এই বাগানের কমলা খেয়েছি এটি দার্জিলিং এর কমলার চেয়ে স্বাদে কনো অংশে কম নয়। আমরাও এই বাগান থেকে গাছ নিয়ে ছোট্ট পরিসরে শুরু করতে চাই।
বাগানে পরিচর্যা ও প্রতিনিয়ত কাজ করেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাগান দেখাশুনা সহ কমবেশি সব কাজ করি। এই বাগানে আমরা ৬/৭ জন কাজ করি। এখানে কাজ করে আমাদের সংসার ভালোই চলছে।
---
শখ থেকেই সফলতার হাতছানি পেয়েছেন বাগান মালিক জয়নাল আবেদিন।হয়েছেন নিজেও স্বাবলম্বী তৈরি করেছেন অন্যের জন্য কর্মসংস্থান।
জয়নাল আবেদীন জানান, পাঁচ বছর আগে আমি চুয়াডাঙ্গায় চাকরিতে থাকাকালীন একটি কমলা বাগানে গিয়ে ওই বাগানের কমলা দেখে মুগ্ধ হই। এর পর আমার ইচ্ছে জাগে আমিও বাগান করবো। এর পর সখের বসে ওই বাগান থেকে কমলা ও মাল্টার ৩’শ চাঁড়া সংগ্রহ করি। বাড়ির পাশেই তিন একর জমিতে গড়ে তুলি বাগান। তার পরের বছর থেকেই ফলন আসা শুরু হয় আমার বাগানে।  গত দু’বছরে প্রায় ১২-১৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছি।  এবারো আমার ফলন খুব ভালো হয়েছে আসা করছি এবারোও  প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon