আলী হাসান মর্তূজা, জাবি প্রতিনিধি
উৎসবমুখর পরিবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচন-২০২৪ চলছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ ভবনের চতুর্থ তলায় বিভাগের কক্ষে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়, চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভাগের দুইটি কক্ষকে অস্থায়ীভাবে ভোটকেন্দ্র বানানো হয়েছে। দুইটি বুথে চলছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে সারিবদ্ধভাবে ভোটকেন্দ্রে আসছেন। ভোটার তালিকা থেকে নিজের নাম খুঁজে পোলিং এজেন্টে কাছ থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে ভোটকেন্দ্র গিয়ে গোপন ব্যালটে ভোট প্রদান করছেন। শাড়ি-পাঞ্জাবি পরিহিত প্রার্থীরা ভোটারদের সাথে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করছেন, ভোট চাচ্ছেন। অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ভোটপ্রদান করছেন৷
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংসদের নির্বাচন কমিশনার এর দায়িত্ব পালন করছেন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন৷
তিনি বলেন, অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। প্রথমবারের মত আমাদের এ বিভাগে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা একটা উদ্দীপনা লক্ষ্য করছি। ভোট গণনা শেষ হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করে হবে।
স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও ভিপিপ্রার্থী নাজিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে সবার মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করছে। আমি চাই যারাই নির্বাচনে জিতে আসুক তারা যেনো বিভাগের উন্নয়নে কাজ করে যায়। আমি নিজেও নির্বাচিত হলে বিভাগের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে কাজ করে যাব। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা সব সময় সোচ্চার থাকবো।
এসময় প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হোক। বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু হোক। প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ৯৩ এর পর দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। জাকসু থেকে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিভাগের নির্বাচনের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ায় আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব, বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল হাসান ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য