মাহফুজ রাজা,ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
কলা রুয়ে না কাট পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত। এটি খনার বচন। এখনো তা কৃষকের মুখে মুখে শোনা যায়। মাধ্যমিক স্তরে কৃষি শিক্ষা বইয়ে পড়ানো হয়। কৃষকের কথায়, ভালো উচু জমিতে কলা চাষ করলে ভাত কাপড়ের অভাব হয় না।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর কলা বাজারের কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। হাটে সপ্তাহে দুই দিন কাঁচা কলার হাট বসে, শুক্রবার ও সোমবার। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তায় কলার এ হাট বসে। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা কলা কিনতে এখানে আসেন। স্থানীয় ও আশপাশের সব এলাকার কলা চাষিরা কলা বিক্রি করেন এই হাটে। পিরিজপুর কলার হাটে সব ধরনের কলা পাওয়া যায়। সবরি কলা, সাগর কলা, কবরি কলা, চিনিচাম্পা কলাসহ বিভিন্ন জাতের দেশি কলা পাওয়া যায়। সূত্রমতে জানা যায়,এ বাজারে প্রত্যেক হাটবারে প্রায় ৪০ ট্রাকের মতো কলা বিক্রি হয়। যার বাজারমূল্য কোটির টাকারও বেশি। বর্তমানে বাজারে কলার দাম বেশি থাকায় চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। একাধিক বেপারি জানান,এই হাট থেকে প্রতি হাটবারে গড়ে প্রায় ৪০ ট্রাক কলা দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই যায়।প্রতি ট্রাকে গড়ে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার কলা থাকে বলেও জানান বেপারিরা। একাধিক কলা চাষি জানান, কলার মূল মৌসুম আসতে এখনও বাকি। চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে এই দুই মোকামে ব্যাপক পরিমাণ কলার আমদানি হয়। ওই সময় এখান থেকে প্রতি হাটবারে শতাধিক ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় বলেও জানান চাষিরা।
কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাজিতপুরের ঐতিহ্যবাহী এ হাট ছাড়াও জেলায় ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি কলার হাট রয়েছে। এখানে বিক্রি হয় জেলার বিখ্যাত বিভিন্ন জাতের কলা। কলার আবাদ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয় বলে তিনি জানান।
মন্তব্য