আশিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বলেছেন, চলচ্চিত্র এমন একটি শিল্প যে শিল্প বিশ্বের মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে আসে এবং আমি মনে করি এই শিল্প বাংলাদেশ ও ইরানের জনগণকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসবে। মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করি। ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরো জোরদার করার ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। আমি মনে করি যে এই চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক যেমন সুদৃঢ় করবে একই সাথে দু’দেশের সংস্কৃতি বিশেষ করে ইরানি সংস্কৃতি বাংলাদেশের মানুষের কাছে আরও বেশি করে পরিচিতি পাবে।
চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন ও ‘ইরান-বাংলাদেশ ফিল্ম কো-প্রোডাকশন: ব্রিজিং মার্কেটস অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
উপাচার্য বলেন, ইরান ও বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে অনেক মিল রয়েছে। ইরানি চলচ্চিত্রের সরলতা, নৈতিক শিক্ষা এবং মানবিক বার্তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবিকতার দিকগুলো সম্পর্কে জানা সম্ভব। এ ধরনের উৎসব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জ্ঞানচর্চার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইরানের কালচারাল সেন্টারের কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী বক্তব্যে বলেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা বিভিন্ন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক বার্তা সহজে পৌঁছে দিতে সক্ষম। ইরানি চলচ্চিত্র শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং শিক্ষার মাধ্যমও। এটি মানুষের জীবনযাত্রা, সংগ্রাম এবং মানবিকতা তুলে ধরার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবীরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সাবিনা শরমীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ইরানের খ্যাতিমান নির্মাতা মাজিদ মাজিদির ‘দ্য চিলড্রেন অব হ্যাভেন’, ‘দি সংস অব স্প্যারো’, ‘দ্য কালার অব প্যারাডাইস’, আব্বাস কিয়ারোস্তামির ‘টেস্ট অব চেরি’ এবং সাইফুল্লাহ দাদের ‘দ্য সারভাইভার’। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রদর্শিত হয় ইবরাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত ‘বডিগার্ড’।
মন্তব্য