আশিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
আন্দোলনে গণহত্যার দোসর ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান মুর্শিদা বিনতে রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইতিহাস বিভাগের সামনে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে একটি ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া একই দিনে তার শাস্তি চেয়ে উপাচার্য বরাবর দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে।
ব্যানারে লেখা আছে, মুর্শিদা বিনতে রহমান ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর মুনতাসির মামুন ও শাহরিয়ার কবিরের অনুসারী। তিনি জুলাই আগস্ট এর গণহত্যার দায় ছাত্রদের নিতে হবে বলে মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তার অফিসে এখনও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সরাসরি বিপক্ষে থাকা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর ড. মুর্শিদা বিনতে রহমানকে ইতিহাস বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, মুসলিম শিক্ষার্থী যারা দাড়ি - টুপি রাখে অথবা জুব্বা-পাঞ্জাবি পড়ে তাদের প্রায় সময়ই তিনি কটাক্ষ করে কথা বলেন এবং অপমানিত করেন। তিনি ধর্মকে আঘাত করে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীদের বলতেন তিনি তার গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকে এসব বলছেন। কোনো বানানো কথা নয়। এছাড়া জবি ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজীর সাথে তার খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
এছাড়া বিগত সরকারের আমলে হওয়া গুম ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে এম.ফিল করতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেননি তিনি- এমন অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে ।
এসব অভিযোগ জানিয়ে আজ সোমবার উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগপত্রে তাঁরা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করা আমাদের অধিকার ও কর্তব্য। ইতিহাস বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থী এম.ফিলের ভর্তির জন্যর জন্য আবেদন করলেও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান ইচ্ছাকৃতভাবে আবেদনসমূহের ব্যাপারে কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এমতাবস্থায় ২০২৪-২৫ সেশনে আমাদের এম.ফিলে ভর্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদের এম.ফিলের বিষয় সমূহ হলো- বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি ২০০৯-২০১৪, বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি ২০১৫-২০১৯, বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ২০১৪-২০২৪।
মন্তব্য