ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এই প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাঃ কামরুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী এবং ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাজমিন রহমান।
প্রোগ্রামের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা ও সুরা ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হয়। পরে সঙ্গীতের মাধ্যমে নবীনদের বরণ করা হয়। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত এ ইউনিটের স্বাগত মাহমুদ, বি ইউনিটের মেহরিন ইসলাম, সি ইউনিটের এনায়েত জোয়ার্দার এবং ডি ইউনিটের আশিক মিয়াকে পুরস্কৃত করা হয়। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
প্রোগ্রামে ওরিয়েন্টেশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং বিআইআইটি-এর মহাপরিচালক ড. এম. আব্দুল আজিজ।
প্রোগ্রামে ডিনদের পক্ষে বক্তব্য দেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রভোস্টদের পক্ষে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন, বিভাগীয় সভাপতিদের পক্ষে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মোঃ আল-রেজা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,“তোমাদের সম্পর্ক থাকবে শ্রেণী-কক্ষ, শিক্ষক, লাইব্রেরি এবং আবাসিক হলের সঙ্গে। তোমরা যদি শ্রেণিকক্ষে বই নিয়ে পড়তে চাও, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ খোলা থাকবে রাত বারোটা পর্যন্ত। তোমরা পড়বে। না পড়লে তোমরা নিজেদেরকে তৈরি করতে পারবে না। যারা পড়ে তারা মনে করে অনেক জানার আছে। যারা পড়ে না তারা মনে করে আমরা খুব জানি। তোমাদের পরিচয় তৈরি হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটস হিসেবে।”
তিনি আরও বলেন,“বিশ্ববিদ্যালয়ে যতদিন থাকবে, ততদিন তোমরা সময়ের সঠিক ব্যবহার করবে। এটিই তোমার জন্মভূমি, পাঁচ বছরের জন্য। হলে ছাত্ররা ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কিনা এ ব্যাপারে তদারকির জন্য প্রভোস্ট-হাউজ টিউটরদের নির্দেশ দেন তিনি।”
মন্তব্য