নিজস্ব প্রতিবেদক
একবিংশ শতাব্দীতে বন মানুষ! বনে জন্ম নিয়ে লতা-পাতা গায়ে জড়িয়ে পশু-পাখির সাথে বেড়ে উঠলেই কি বন মানুষ? আধুনিক পোষাক পরিধান করিয়ে বনের কোন পশুকে সভ্য সমাজে বিচরণ করিলেই সে কি সভ্য মানুষ ? মানুষ রূপে জন্ম নিলেই সবাই মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে কি?
বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো এক বন কর্মকর্তা ভয়ংকর পশুর রূপ ধারণ করেছিল এক অবুঝ শিশুর জীবনে। তার নির্মম, নিষ্ঠুর অত্যাচারের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে দীর্ঘ এক বৎসর যাবৎ। ধীরে ধীরে সে শিশুটি আজ মানসিক প্রতিবন্ধীতে পরিনত হচ্ছে।
উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তার পরিচয়ের দাপট, অবৈধ সম্পদের দাম্ভীকতা, কালো টাকার অন্ধকার প্রভাবে চলমান আইন-কানুনের গতিপথ ঘুরিয়ে দিতে চাচ্ছে ।
অভিযোগকারীরা জানান, আটপাড়া উপজেলার রামসিদ্ধ গ্রামের এক অপ্রতিরোধ্য আতঙ্কের নাম মোঃ আবুল ফজল (৫২)। সেই এলাকায় এখন ফজলের নাম শুনিয়ে শিশুদের ঘুম পাড়ানো হয়। জনশ্রæতিতে নামে-বেনামে ৫০০ শত কোটি টাকা সম্পদের মালিক তিনি।
অভিযোগকারীরা জানান, জনপ্রতিনিধি, দুদক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে দহরম-মহরম সম্পর্কেই ঢাকা পরে যায় তার সকল অপরাধ।
১১মে ২০২০ তারিখে আটপাড়া থানাধীন রামসিদ্ধ গ্রামে শিশু মোঃ রবিন হাসান’কে (১২) নির্যাতন করে উল্টো শিশু ভিকটিমকে অপরাধী বানিয়ে আদালতে একটি মামলা দাখিল করে।
শিশুটিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বারবার নির্যাতন করে প্রতিবন্ধী বানিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। কি শত্রুতা এই অবুঝ শিশুটির সাথে? নিজের কোন অপরাধ আড়াল করার জন্যে এই গভীর প্রচেষ্টা। জনমনে তীব্রভাবে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
ক্ষমতার দাপটে তৎকালীন তথ্য জানা সাংবাদিকদেরকে স্তব্ধ করে দিয়েছে এই বন কর্মকর্তা।
লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা শুনার পর সরেজমিনে অনুসন্ধান করে তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়ে তৈরি হয়েছে হারিয়ে যাওয়া অনুসন্ধানী রিপোর্ট, ভিডিও ফুটেজ।
বন কর্মকর্তার আন্ডারগ্রাউন্ড কালো টাকার পাহাড়ের সন্ধান, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণী যুগের কণ্ঠস্বরে আসছে- সাথে থাকুন।
আড়ালে পরে থাকা তথ্যকে সকলের গোচরে নিয়ে আসাই সাংবাদিকতা। আমরা দায়িত্ব পালন করছি। আমরা নিরপেক্ষ নই, আমরা পক্ষে, আমরা সত্যের পক্ষে। আমরা কোন দল বা ব্যক্তির নই।
মন্তব্য