রাবি প্রতিনিধি:
শব্দদূষণ রোধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের’ আওতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর। ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মশালায় ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
কর্মশালায় ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. লতিফুর রহমা সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাফরুহা সিদ্দিকা লিপি।
কর্মশালার শুরুতে শব্দদূষণের উৎস, মাত্রা, আইন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন। শিক্ষার্থীরা শব্দদূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখাসহ সচেতনতা তৈরি করবে বলে তাঁর প্রত্যাশা।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শব্দদূষণ নিরব ঘাতক। যখন শব্দের মধ্যে থাকা হয়, তখন কার্যত এটি মনে হয় তেমন ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি মানবদেহের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করতে শুরু করে। শব্দদূষণের কারণে শরীর ও মনের ৩০টির মতো কঠিন রোগ হয়। তাই শব্দদূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে আজকের শিক্ষার্থীরা নিজেরা শব্দদূষণ রোধ করবে এবং তারা অপরকে সচেতন করবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এাফরুহা সিদ্দিকা লিপি বলেন, শব্দদূষণ এতটাই বেড়ে গেছে যে মনে হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এ কারণে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধছে। মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করছে, মেজাজ খিটখিটে ভাব, হৃদপৃণ্ডে সমস্যা হচ্ছে। শুধু শ্রবণশক্তিই হ্রাস নয়, এর ফলে গর্ভবর্তী নারীদের সমস্যা হচ্ছে। তাদের সন্তানও অনেক সময় এই কারণে বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। তাই শব্দদূষণ রোধে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি আইনও প্রয়োগ থাকতে হবে।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মো. লতিফুর রহমান সরকার বলেন, শব্দদূষণসহ বিভিন্ন দূষণ রোধে সরকার থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অনেক আইন কানুনও আছে। কিন্তু এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা বা আইনের আওতায় আনার মতো সক্ষমতা নেই সরকারের। তাই নিজে থেকেই সচেতন হতে হবে। অন্যকেও সচেতন করতে হবে।
মন্তব্য