মোঃ শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি:
দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ঘাটের নৌরুট। কুয়াশা পড়লেই এ নৌরুটে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে।
তবে হঠাৎ করেই শুক্রবার বিকেলের পর থেকে রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের ভীড় বাড়তে শুরু করে এবং সন্ধ্যার পর থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের ভীড় বাড়লে, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানবাহনের সাড়ির সৃষ্টি হয়।
আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সহ যানবাহনের চালকরা। শীতের মধ্যে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ির কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু সহ বয়স্কদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক চালকরা দুঃচিন্তায় পড়েছে বেশি। কারণ বেশিক্ষণ জানজটে থাকলে কাঁচামাল পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সময়মতো নদী পারাপার না হলে চালকরা পড়বে বেশি বিপদে।
তবে বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ জানায়, কুয়াশার কারণে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকে তাই কুয়াশার মধ্যে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকার আগেই নদী পার হওয়ার আশায় যানবাহনের চালকরা ঘাটে আগে এসে পৌছেছে। এ কারণেই যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক, মো: সালাহউদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে ১০ টি ফেরী চলাচল করছে। তবে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে অতিরিক্ত যানবাহনের সৃষ্টির কারণে এই নৌরুটে আরো ২ টি ফেরী চলাচলের সিদ্দান্ত নেয়া হয়েছে। এবং ছোট বড় মোট ১২ টি ফেরী দিয়ে বর্তমানে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরী চলাচল করবে। এ ফেরী গুলো দিয়েই যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে।
মন্তব্য