মোঃ আবু তৈয়ব, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে ঘুমন্ত ও তাহাজ্জুতরত নিরীহ তাবলীগ জমায়েতের ওপর সাদপন্থীদের পরিকল্পিত হামলাকে ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষ’ হিসেবে মিডিয়ায় অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে যখন আমাদের তাবলীগের সাথী ভাইরা গভীর রাতে তাহাজ্জুত পড়ছিলেন এবং তাদের অনেকেই ঘুমন্ত ছিলেন, ঠিক তখনই চিহ্নিত আওয়ামী দোসর সাদপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪ জনকে শহীদ করেছে এবং অসংখ্য সাথী ভাইকে আহত করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের জোরাল দাবি, অবিলম্বে হামলায় জড়িত সাদপন্থী সকলকে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। একইসাথে তাদের আওয়ামী ও ভারতীয় ষড়যন্ত্রমূলক নেটওয়ার্কও ধ্বংস করতে হবে। এছাড়া ভিকটিম পক্ষের সবাইকে আমরা শান্ত থাকার আহ্বান করছি। তারা বলেন, একপক্ষীয় হামলার এ ঘটনাকে ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষ’ হিসেবে অপপ্রচার চালিয়েছে ভারতের এজেন্ট হিসেবে চিহ্নিত একদল মিডিয়া। এমন নির্লজ্জ্ব হলুদ সাংবাদিকতার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা অনুযায়ী কোনো ঘটনাকে ‘সংঘর্ষ’ আর কোনো ঘটনাকে ‘হামলা’ বা ‘তাণ্ডব’ বলা কোনোভাবেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উদাহরণ নয়। তাদের অন্তত লজ্জা হওয়া উচিত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এইসব কথা বলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দুরা।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিতর্কিত ভারতীয় আলেম মাওলানা সাদের অনুসারী দাবি করে তাবলীগে বিভাজনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে দ্বীনের মুখোশধারী একদল চিহ্নিত আওয়ামী দোসর। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমল থেকেই সাদপন্থীরা আওয়ামী লীগের তাঁবেদারি করে শুধু তাবলীগে বিভাজনই নয়, আলেম-ওলামার বিরুদ্ধেও বিদ্বেষমূলক প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। বিগত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেও তারা ইজতেমা ময়দানে দিনের আলোতে লোহার গেট ভেঙে নিরীহ আলেম-ওলামা ও মাদারাসাছাত্রদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে নৃশংস হামলা চালায়, যার ভিডিও প্রমাণ এখনো রয়েছে। তখনো ১ জন নিহতসহ আহত হন ৩ শতাধিক। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় তখন তাদের বিচার করা সম্ভব হয়নি। যদিও তখন থেকে উম্মাহর ঐক্য বিনষ্টকারী এই সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ শুরু হয়।
মন্তব্য