মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
 

ফ্যাসিস্ট ডীনদের অপসারণের দাবিতে রাবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

---

রাবি প্রতিনিধি:

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক এসএম এক্রামউল্যাহ সহ সকল ‘ফ্যাসিস্ট ডীন’দের অপসারণের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এই স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী এসএম রিজন।

 

উপাচার্য ছাড়াও উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছেও স্মারকলিপির অনুলিপি দিয়েছেন তিনি।

 

স্মারকলিপিতে এসএম রিজন লিখেছেন,  অধ্যাপক ফ্যাসিস্ট একরামুল্লাহ আমার বিভাগের ‘পলিটিক্যাল থটস’ কোর্সের একজন গেস্ট টিচার। দার্শনিক হবস এর একটি নীতি, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে রাষ্ট্রের নাগরিককে খুন করতে হবে।’ এমন উক্তি কোট করায়, আমি এবং আমার সহপাঠী ফ্যাসিস্ট এবং খুনি হাসিনাকে উল্লেখ করি। উল্লেখ্য এ সময় তিনি চুপ ছিলেন। পরবর্তীতে ভিন্ন কথা প্রসঙ্গে ফ্যাসিস্ট একরামুল্লাহ জানান, “তোমরা যেভাবে শেখ হাসিনাকে মার্কিং করেছো, আমিও ঠিক একইভাবে তোমাদেরকে পরীক্ষার খাতায় মার্কিং করবো।”

 

তিনি আরও লিখেছেন, এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তিনি ডিবিসি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের কাছে বিচার দাবি করেন। বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করা হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাসিস্ট ডীনদের অপসারণ এখনো করা হয় নি। যা সত্যিই আমাদের অবাক করে। ৩৬ জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বিপ্লব পরিপন্থী এসকল ডীনসমূহকে মেনে নেয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই দ্রুত এসকল ফ্যাসিস্ট ডীনদের অপসারণ দাবি করছি।

 

স্মারকলিপি প্রদানকালে এস এম রিজন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব সহ ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

তবে পরীক্ষার খাতায় মার্ক কম দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক এসএম এক্রামউল্যাহ।

মার্ক কম দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ও অপসারণ দাবির ব্যাপারে অধ্যাপক এসএম এক্রামউল্যাহ বলেন, ছাত্ররা শেখ হাসিনা সম্পর্কে মন্তব্য করলেও আমি চুপ ছিলাম। আর খাতায় মার্কিং করার ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করিনি। আমার জানামতে আমার সারাজীবনে এক টাকার অন্যায় করিনি কোথাও। শিক্ষার্থীরা অপসারণ দাবি করলে, দাবি যদি যৌক্তিক হয়, অপসারণ করবে। আমি যদি কোনো অন্যায় করি, তাহলে অপসারণ করবে। অন্যায় না করলে অপসারণ করবে কেন? এটা তো একটা নির্বাচিত পদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভোট দিয়েইতো সবাইকে ডিন বানিয়েছে।

এ বিষয়ে রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এখানে যেহেতু ঘটনাটা একটা বিভাগের ক্লাস চলাকালীন সময়ের, সেহেতু শিক্ষার্থীরা ওই বিভাগের সভাপতির কাছে অভিযোগ জানালে ভালো হতো। প্রয়োজনে সভাপতি পরে আমাদের জানাতে পারতেন। যাইহোক, বিষয়টা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবশ্যই খতিয়ে দেখবে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon