কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের কাউখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে না পারলেও একযুগ পর্যন্ত স্বপদে বহাল থেকে সরকারি বেতন ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, উপজেলার ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ধাবড়ী গ্রামের ৫৫নং আব্দুর রহমান সকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস ১৯৮৫ সালের জানুয়ারি মাসে চাকুরিতে যোগদান করেন। সেই সময় বিদ্যালয়টি রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্যাটাগরিতে ছিল। পরবর্তীতে রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো একযোগে জাতীয়করণ করা হয়। সেই সুবাধে তিনিও রেজিষ্টার বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানায়, আব্দুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস ২০১২ সাল থেকে অতিরিক্ত ধুমপানের ফলে লাঞ্চ আক্রান্ত হয়ে বাকযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে বাড়ির পাশের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও পাঠদান করতে পারেন না। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৬৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে, বিপরীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং যিনি কথা বলতে পারেন না তাকেসহ ৩জন শিক্ষক রয়েছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র জানান, ৬ পদের স্কুলে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি, এছাড়া একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন কথা বলতে না পারার কারনে পাঠদান করতে পারে না, একজন শিক্ষক পিটিআই প্রশিক্ষণে, আর একজন শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিল যারফলে পুরো বছরই তিনি ও অসুস্থ অমল কৃষ্ণ বাবুকে নিয়েই স্কুল পরিচালনা করতে হয়েছে। যারফলে ৫টি শ্রেণিকক্ষে তাকে একাই পাঠদান করাতে হয়েছে। যারফলে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করলে ডেপুটেশনে একজন শিক্ষক দেওয়ার আদেশ দিলেও তিনি যোগদান করেন নাই। অসুস্থ শিক্ষক অমল কৃষ্ণ দাস এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তার ছেরে ফোন রিসিভ করে বাবার অসুস্থতার কথা জানান। একপর্যায়ে বাবার কাছে ফোন দিলেও সে কোন কথা বলতে পারেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিবুর রহমান জানান, অমল কৃষ্ণ বাবু দীর্ঘদিন অসুস্থ কথা বলতে পারে না , আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি।
মন্তব্য