আব্বাস উদ্দিন, ব্রাহ্মণ বাড়িয়া প্রতিনিধি
ডেইলি অনলাইন নিউজ’ নামক ফেসবুক আইডি’র মাধ্যমে মিথ্যা মনগড়া বানোয়াট ভিত্তিহীন মানহানিকর তথ্য পোষ্টদাতার বিচার চেয়ে সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং-১১৪৯, তারিখ-২৫.১২.২০২৪ খ্রি.) করেছেন প্রভাষক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান। গতকাল বুধবার তিনি বাদী হয়ে সরাইল থানায় এই জিডি করেছেন। মাহবুব খান সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি। জিডি সূত্র জানায়, গত ২১ ডিসেম্বর শনিবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে ‘ডেইলি অনলাইন নিউজ’ নামের একাটি ফেসবুক আইডি মাহবুব খানের বিরূদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অভিযোগ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। সাথে উনার কর্মস্থল সরাইল মহিলা কলেজে সরকার নির্দেশিত বিভিন্ন দিবস উৎযাপনকালে ধারণকৃত ছবি আপলোড করে হীন উদ্যেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে একটি অর্থলোভী মহল। মহল বিশেষ গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উনাকে মানহানি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ভবিষ্যতেও ষড়যন্ত্রকারীরা মাহবুব খানের বিরূদ্ধে আরো বড় ধরণের ষড়যন্ত্র করতে পারে। ওই চক্রটি উনার প্রাণনাশের কারণও হতে পারে। উনি উনার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মানহানি করার চেষ্টার প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থা প্রত্যাশা করছেন। পোষ্টদাতা সনাক্ত করার মত কিছু তথ্য উপাত্তেরও সন্ধান মিলেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরাইলের একাধিক ব্যক্তি বলেন, মাহবুব খানের স্বচ্ছ ও সাহসী সাংবাদিকতা এক শ্রেণির স্বল্প শিক্ষিত লম্পট চরিত্রহীন তেলবাজ দালাল ও কথিত সাংবাদিকের গাত্রদাহের কারণ। আর এরাই কারণে অকারণে উনার পেছনে লেগে থাকে। ওইসব ধান্ধাবাজদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাচ্ছি। মাহবুব খান বলেন, সমাজ ও দেশের অনিয়ম দূর্নীতি অস্বচ্ছতা স্বেচ্ছাচারিতা জবর দখল চুরি ছিনতাই ডাকাতি ঘুষবাণিজ্য ধর্ষণ হত্যা গুম সহ সকল ধরণের অপকর্মের মুখোশ উম্মোচন করাই একজন গণমাধ্যম কর্মীর কাজ। আমি গত ২৬ বছরেরও অধিক সময় ধরে সরাইলে এই কাজ গুলি করার চেষ্টা করছি। তাই অনেক নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছি। এতে করে নাম সর্বস্ব পত্রিকার স্থানীয় এক শ্রেণির কথিত সংবাদ কর্মীর অনৈতিক চাওয়া পূরণ হচ্ছে না। আর এরাই কৌশলে আমার বিরূদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা আমাকে যেকোন সময় হত্যাও করে ফেলতে পারে। আমি প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান বলেন, আমরা মাহবুব খানের বিষয়টি গুরূত্ব সহকারে দেখছি। আপত্তিকর পোষ্টদাতাকে সনাক্ত করার কাজ চলছে। পরবর্তীতে ওই পোষ্টদাতার বিরূদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য