শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
 

জাতীয় নাগরিক কমিটি কোন রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক শক্তি- সারজিস আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

---

মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি কোন রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি রাজনৈতিক শক্তি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সমুন্নত রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটি কাজ করবে। জাতীয় নাগরিক কমিটির কাজ হলো লিডার তৈরি করা। আগামীর বাংলাদেশে কিভাবে আরো পরিচর্যা করা যায় সেই কাজটাই জাতীয় নাগরিক কমিটি সে তার জায়গা থেকে করবে বলে মন্তব্য করেন সারজিস আলম।

 

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সারজিস আলম বলেন, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের দোসররা সচিবালয়ে এখনো বসে ষড়যন্ত্র করছে। সচিবালয়ে যে সচিবগুলো ছিলো তারাই খুনি হাসিনাকে চেয়ারে বসিয়েছিলো। অনেক সচিব এখনো খুনি হাসিনার হয়ে কাজ করছে। সচিবালয়ে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে শাস্তি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

সারজিস বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে হয়নি। তাই আমরা চাই আগামী নির্বাচন যেন শেখ হাসিনার মার্কা নির্বাচন না হয় সেজন্য সংস্কার প্রয়োজন। তবে সংস্কার একটি সময়সীমার মধ্যে করতে হবে। সংস্কার করতে গিয়ে নির্বাচনের সময় যাতে ফুরিয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 

এই ১৫ বছরে  সবথেকে বেশি বিএনপি নির্যাতিত হয়েছে, তাদের নেতাকর্মী জেলে গেছে। তবে নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে সময় দেওয়া উচিত। যাতে তারা দলগুছিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারে।

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক,  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, চাঁদাবাজী- দখলদারিত্ব ও মামলা বাণিজ্যের জন্য জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানে এতো মানুষ প্রাণ দেয়নি।

 

তিনি বলেন, আমরা জানি ঠাকুরগাঁওয়ে মামলা বাণিজ্য হচ্ছে। মামলায় নাম না দেওয়ার জন্য একবার টাকা নেয়া হয় আবার মামলা থেকে নাম কাটানোর জন্য একবার টাকা নেয়া হয়। এরই মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজী শুরু হয়ে গেছে। বড় বড় ব্যবসায়ীদের রাতের বেলায় বাসায় ডেকে আনা হয়, ওখান থেকেই টাকার পরিমাণ ঠিক করা হয়। এগুলোর জন্যই তো এতো মানুষ জীবন দেইনি৷ যেভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজী, মামলা বাণিজ্য ও দখলদারীত্ব শুরু হয়েছে এভাবে  চলতে থাকলে মনে করবো এই গণঅভ্যুত্থানকে পূজী করে টিস্যুর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

সাংবাদিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এর আগে সাংবাদিকরা চাইলেও সত্য প্রকাশ করতে পারেনি। এখন সত্য বলার দিন আসছে কিন্তু এখনো যদি আমরা কুক্ষিগত হয়ে যাই এই সুযোগ বার বার আসবে না। সাংবাদিকরা যদি সত্য তথ্য প্রকাশ করতে গিয়ে কোন জায়গায় কোনভাবে হুমকি বা হয়রানীর শিকার হন তাহলে আমাদের জানাবেন আমরা এক হয়ে লড়বো আপনাদের সাথে।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon