জাবি প্রতিনিধি
৩ দফা দাবীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। এসময় আইন অনুষদ ছাত্রসংসদের জিএস আসাদুজ্জামান আসাদ আমরণ অনশনে বসেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু হয়।
তাদের দাবী সমূহ, ৪৯ থেকে ৫১ ব্যাচের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন, এফ ইউনিট(আইন অনুষদ) পৃথকীকরণ অথবা কলা,সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদ একক ইউনিটে ভর্তি পরিক্ষা নেবে ,স্থায়ী ভবন বরাদ্দ।
শিক্ষার্থীরা জানান, আওয়ামী স্বৈরাচারের সময় আইন অনুষদে নানান রকম অপকর্ম ঘটে। ফলাফল তৈরিতে স্বজন প্রীতি, শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ইত্যাদি। এছাড়াও, প্রায় ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র একটি শ্রেনিকক্ষে চলছে অনুষদের পাঠদান কার্যক্রম। সকল অনুষদ স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরিক্ষা নিলেও অযৌক্তিক বাহানায় আইন অনুষদের এফ ইউনিট বাতিল করে তাদের সি ইউনিটে একীভূত করা হয়।
এবিষয়ে আইন অনুষদ ছাত্রসংসদের ভিপি আশিফুল হাসান অমিত বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস যাবত আমরা আইন অনুষদের স্থায়ী ভবন ও ৪৯ব্যাচ থেকে ৫১ব্যাচের প্রশ্নবিদ্ধ ফলাফল পূনর্মূল্যায়নের দাবীতে আন্দোলন করে আসছি। প্রশাসন বারংবার আশ্বাস দিলেও তদন্ত কমিশন গঠন ছাড়া কোন দৃশমান ফল দেখতে পাইনি।
স্বৈরাচারী শিক্ষক তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পালের অন্যায়ের বিচার ও ফলাফল পূনর্মূল্যায়নের জন্য গঠিত হওয়া কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আজকে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে একটা শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে।
কিন্তু ভবনের বিষয়ে কোন সুষ্পষ্ট সিদ্ধান্ত আসেনি। ১টি ক্লাস রুমে আমাদের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা একেবারেই অসম্ভব। আজকে আমরা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফিরব। একই সাথে শিক্ষার্থীদের দাবী অনুযায়ী এফ ইউনিট পুনরায় চালু করে নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। যদি আমাদের স্বতন্ত্র ইউনিটে পরিক্ষা নিতে না দেয় তাহলে ঢাবির অনুরুপ জাবিতেও বি ইউনিটে কলা, আইন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ সম্মিলিতভাবে পরিক্ষা নিতে হবে।
অনশনে বসা শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ (জিএস) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা বলেছেন চাইলেই আমাদের ফলাফল পূনর্মূল্যায়ন সম্ভব। ইউনিট কমানোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অনুকরণের অছিলায় আমাদের এফ ইউনিট বাতিল করলেও সমাজবিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞান, গাণিতিক ও পদার্থ অনুষদকে স্বতন্ত্র ইউনিটে পরিক্ষা নেওয়ার সুযোগ দিয়ে প্রশাসন দ্বিচারিতা করছে। এছাড়াও, ভাড়া করা একটি ক্লাসরুমে আমাদের পাঠদান করা হয়। আমাদের নিজস্ব ভবন অতিব জরুরি।
ছাত্রসংসদের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আঁখি কাজল বলেন, আমরা চাই নতুন প্রশাসন আমাদের দু:খ দূর্দশা বুঝে শিক্ষার্থীবান্ধব একটি সমাধান দেবে।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবিষয়ে বলেন, আমরা বিষয়গুলো জেনেছি। আজকে ফলাফল পূনর্মূল্যায়নের বিষয় সিদ্ধান্ত আসবে। তবে ভবনের সিদ্ধান্ত আজকের একাডেমিক কাউন্সিলে হবে না।
মন্তব্য